বিশেষ সংবাদ:
চট্টগ্রামের পটিয়ায় আবাদি জমি নষ্ট করে বেড়িবাঁধ নির্মাণ হচ্ছে। খালের ৩০-৪০ ফুটের মধ্যে বাঁধ নির্মাণ করার কথা থাকলেও ২০০ থেকে ৩০০ ফুট দূরে তা নির্মাণ হচ্ছে। এতে একদিকে বিপুল পরিমাণ আবাদি জমি বাঁধের ভেতরে চলে যাচ্ছে। আবার বাঁধ নির্মাণ করতে গিয়ে আবাদি জমি থেকেই এক্সকেভেটর দিয়ে কাটা হচ্ছে মাটি। বেড়িবাঁধ নির্মাণে অধিগ্রহণ করা জমির টাকাও পাননি অনেক মালিক। এ অবস্থায় এলাকার মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
জানা যায়, পানি উন্নয়ন বোর্ড পটিয়ার ১১৫৮ কোটি টাকার বেড়িবাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের কাজ শুরু করেছে। বন্যা নিয়ন্ত্রণ নিষ্কাশন ও সেচ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় চান্দখালী খালের কালিগঞ্জ থেকে বারাকা পাওয়ার প্ল্যান্ট পর্যন্ত ২৫ দশমিক ৫১ কিলোমিটারের এই বেড়িবাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, কোথাও কোথাও খালের ২০০ থেকে ৩০০ ফুট দূরে বেড়িবাঁধ দেওয়া হচ্ছে। এটি করতে গিয়ে শত শত একর জমি বেড়িবাঁধের ভেতরে চলে যাচ্ছে। ওই জমি আবাদের বাইরে চলে যাবে। আবার যে স্থানে বাঁধ দেওয়া হচ্ছে তার দুই পাশ থেকে কৃষি জমি নির্বিচারে এক্সকেভেটর দিয়ে গর্ত করা হচ্ছে। একপাশে খালে বাঁধ দিতে গিয়ে আরেক পাশের জমিতে খাল বানানো হচ্ছে। ফলে ওইসব জমি চাষের আওতার বাইরে চলে যাবে। এলাকাবাসী ধলঘাট ইউপি চেয়ারম্যান টুটুন ঘোষ ও প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের বরাবর এ ব্যাপারে অভিযোগ দিয়েছেন। কিন্তু রহস্যজনকভাবে তারা নীরবতা পালন করছেন। এলাকাবাসীর অভিযোগ, ফসলি জমি নষ্ট করে, যার জমি তার সঙ্গে কথা না বলে ইচ্ছেমতো মাটি কেটে ফেলছে ঠিকাদার। অথচ বাঁধের মাটি বাইরে থেকে আনার কথা। তাদের সাশ্রয়ের জন্যই ফসলি জমি থেকে মাটি নিয়ে ভূমি মালিকদের বড় ধরনের ক্ষতির মুখে ঠেলে দিচ্ছে ঠিকাদার ও প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।
জানতে চাইলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী অপু দেব বলেন, ফসলি জমি যত কম নষ্ট করা যায় তার দিকে খেয়াল রেখেই কাজ চলছে। যেখানে ভাঙন বেশি সেখানেই একটু দূরে বাঁধ দেওয়া হচ্ছে। বাঁধ নির্মাণ হলে হাজার হাজার একর জমি চাষাবাদের আওতায় আসবে।
Leave a Reply