বিশেষ সংবাদ:
চট্টগ্রাম নগরের আটটি হাসপাতাল-ক্লিনিক ও রোগ নির্ণয় কেন্দ্রে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করেছে সিভিল সার্জন কার্যালয়।
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মো. ইলিয়াছ চৌধুরীর নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে লাইসেন্স না থাকায় সিপিআর ল্যাব বন্ধ ঘোষণা করা হয়। একই সঙ্গে তিনটি ল্যাবে চিকিৎসক ও টেকনোলজিস্ট না থাকায় ইসিজি, আল্ট্রাসনোগ্রাফি ও এন্ডোসকপি বন্ধ করা হয়।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, নগরের পাঁচলাইশে জেনেটিক ল্যাবে এন্ডোসকপি ও ইসিজি বিভাগে চিকিৎসক না থাকায় এ দুই কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। একই এলাকায় মেডিহেলথ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের এক্সরে বিভাগ ও আলট্রাসনোগ্রাফি বিভাগে চিকিৎসক না থাকায় এ দুই বিভাগের কার্যক্রম বন্ধ করা হয়। একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠান দুটির কাছে কৈফিয়তও তলব করা হয়।
পাঁচলাইশের ঈগল্স আই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ইসিজি বিভাগে চিকিৎসক না থাকায় ইসিজি কার্যক্রম বন্ধ করা হয়। অন্যদিকে, স্বাস্থ্য বিভাগের লাইসেন্স না থাকা, দৃশ্যমান স্থানে মূল্য তালিকা না রাখা, কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারিদের নিয়োগ সংক্রান্ত কোনো তথ্য না রাখা, ডিপ্লোমাবিহীন টেকনিশিয়ান দ্বারা ব্লাড কালেকশন করাসহ বিভিন্ন ত্রুটি-বিচ্যুতি ও অনিয়ম পাওয়ায় জামালখান এলাকার ল্যাব এক্সপার্ট, সেনসিভ (প্রাইভেট) লিমিটেড, ইনোভা হসপিটাল লিমিটেড এণ্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং ওআর নিজাম রোডের মেট্রোপলিটন হাসপাতাল এণ্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার লিমিটেডকে কৈফিয়ত তলব করা হয়েছে।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মো. ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, সম্প্রতি দেশে হাসপাতাল-ক্লিনিকে কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। তাই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা মতে চট্টগ্রামেও অভিযান শুরু করা হয়। স্বাস্থ্য বিভাগ এর আগেও অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেছে। অভিযানে যাদের বিরুদ্ধে অনিয়ম পাওয়া গেছে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
Leave a Reply