বিশেষ সংবাদ:
রাজধানীতে অভিযানের ভয়ে ধস নেমেছে রেস্তোরাঁ ব্যবসায়। অধিকাংশ মালিক বন্ধ রেখেছেন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। নিরাপত্তার কারণেও কমেছে ক্রেতার আনাগোনা। রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির দাবি, সব লাইসেন্স ঠিক থাকার পরও হয়রানির শিকার হচ্ছেন তারা।
ধানমন্ডির সাত মসজিদ রোডের এক ভবনেই রয়েছে ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও হাফ ডজন রেস্টুরেন্ট। নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে, রাজধানীসহ সারাদেশে গড়ে উঠছে ঝুঁকিপূর্ণ এমন হাজারো ভবন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই উপেক্ষিত অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা, জরুরি বহির্গমনের মতো বিষয়গুলো।
সম্প্রতি, বেইলি রোড ট্রাজেডির পর ঝকঝকে তকতকে এসব রেস্টুরেন্টের নিরাপত্তা কতটা ভঙ্গুর তা আবারো সামনে এসেছে। এই ঘটনার পরই সাড়াশিঁ অভিযানে নামে প্রশাসন। যা নিয়ে রীতিমতো আতঙ্কে রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ী জানান, আতঙ্কের মধ্যে ব্যবসায় করছেন তারা। প্রশাসন কী কারণে এরকম করছে, তাও বুঝতে পারছেন না। গত কয়েকদিন আগে যে রেস্টরেন্টেু বিক্রি হতো এক থেকে দুই লাখ টাকা, সেটি কমে এখন দিনে বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, সব কাগজ-পত্র থাকার পরও, গ্রেপ্তার ও জরিমানার ভয়ে এখন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলতে পারছেন না তারা।
রেস্তোরাঁর অনুমোদনের ক্ষেত্রে অগ্নি নির্বাপনসহ নিরাপত্তার বিষয়টি বিশেষ গুরুত্বের কথা বলেছেন স্থপতি মুস্তাফা খালিদ পলাশ। তিনি বলেন, বিপজ্জনক ক্যাটগরিতে ভাগ করে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান করতে হবে। যেমন-ক্যামিকেল, গোডাউন আলাদা আলাদা করতে হবে। এতে ঝুঁকি কমবে।
প্রসঙ্গত, সারাদেশে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির অধীনে নিবন্ধিত রেস্তোরাঁ, রেস্টুরেন্ট আছে সাড়ে চার হাজারের মতো। গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাতে বেইলি রোডে আগুনের ঘটনার পর অবৈধভাবে পরিচালিত বাণিজ্যিক ভবনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া শুরু করে প্রশাসন। এরই অংশ হিসেবে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার রেস্তোরাঁয় অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন আছে কিনা, জরুরি বহির্গমন সিঁড়ি রয়েছে কিনা, নিরাপদ স্থানে রেখে গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করা হচ্ছে কিনা, এ ছাড়াও অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র এবং ঝুঁকির বিষয়টি নজরদারি করা হয়। পুলিশের অভিযান চলাকালে আটক করা হয় বিভিন্ন রেস্তোরাঁর বেশ কয়েকজনকে। তাদের মধ্যে কয়েকটি রেস্তোরাঁর ম্যানেজার রয়েছেন।
Leave a Reply