বিশেষ সংবাদ:
চট্টগ্রামের এস আলম সুগার রিফাইনারির হাজার টন পুড়ে যাওয়া চিনি কর্ণফুলী নদীর পানিতে গিয়ে মিশছে। এতে নদীর পানি দূষণের শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
বুধবার (৬ মার্চ) সরেজমিনে কর্ণফুলী নদী তীরবর্তী এলাকা ঘুরে দেখা যায়, পুড়ে যাওয়া চিনি গলে বিভিন্ন ড্রেন ও মাটি চুইয়ে নদীতে পড়ছে। এতে কিছু জায়গায় নদীর পানির রঙ বদলে গিয়েছে। রহমান নামে স্থানীয় এক সাম্পান মাঝি বলেন, গতকাল বিকেল থেকে পোড়া চিনি নদীর পানিতে মিশছে।
স্থানীয় জেলেরা জানান, নদীর যেসব এলাকায় পোড়া চিনি মিশছে, সেখানে পানির রঙ বদলে যাচ্ছে। তবে, এর প্রভাবে কোনো মাছ মারা যাচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত করে তারা বলতে পারেননি।
চট্টগ্রাম পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. কামরুল হাসান পোড়া চিনি নদীর পানিতে মিশে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ইতোমধ্যে পানির নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পানি পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছি।
পোড়া চিনি নদীর পানিতে মিশলে পরিবেশের কী ক্ষতি হতে পারে? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, নদীর পানির ইকোসিস্টেমে প্রভাব পড়তে পারে। বিশেষ করে পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেন এতে কমে যাবে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও নদী গবেষক ড. মঞ্জুরুল কিবরিয়া বলেন, চিনি একটা রাসায়নিক পদার্থ। চিনি গলে নদীর পানিতে মিশলে নদীর পানির জীব-বৈচিত্র্য ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
তবে, পোড়া চিনি নদীর পানিতে মেশার বিষয়টি নাকচ করে এস আলম গ্রুপের জেনারেল ম্যানেজার (অ্যাডমিন) আখতার হাসান বলেন, পোড়া চিনি এস আলমের নিজস্ব জমিতে ডাম্পিং করা হচ্ছে। চিনি গলে নদীতে যাওয়ার শঙ্কা নেই।
Leave a Reply