বিশেষ সংবাদ:
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলায় বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে বিপ্লব মিয়া ওরফে বিপুল (২২) নামের এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন। গতকাল রোববার ভোর ৪টার দিকে পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী সীমান্তের ৮৪৩ নম্বার মেইন পিলারের কাছে এই ঘটনা ঘটে।
বি এস এফ – এর গুলিতে নিহত বাংলাদেশী যুবকের মৃতদেহ পাঠানো হল বাংলাদেশে। ভারত বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষীবাহিনী এবং দুই দেশের পুলিশ অফিসারদের যৌথ বৈঠকের মাধ্যমে বাংলাদেশী পাচারকারীর মৃতদেহ বাংলাদেশ পুলিশ এবং পরিবারের হাতে তোলে দেওয়া হল।
মাগুরুলী ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকা দিয়ে পাচারকান্ড সংঘটিত করতে গিয়ে ১৯৯ নং বিএসএফ ব্যাটালিয়ানের গুলিতে নিহত হয় বাংলাদেশি এক যুবক।
বাংলাদেশী পাচারকারীরা এক বিএসএফ জোয়ানকে লক্ষ্য করে প্রথমে আক্রমন শুরু করে। দা দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে। যার ফলে গুরুতরভাবে আহত হয় ওই বিএসএফ জোয়ান।
সেই সময়ে বেশকিছু বাংলাদেশি কাঁটাতারের বেড়া ডিঙিয়ে ভারত অংশে প্রবেশ করে ওই বিএসএফ জোয়ানকে টেনে হিঁচড়ে বাংলাদেশে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পরবর্তী সময় অন্যান্য বিএসএফ জোয়ানরা ঘটনাটি প্রত্যক্ষ করতে পেরে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে এবং ওই বিএসএফ জোয়ানকে বাংলাদেশীদের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য বন্দুক থেকে গুলি ছুড়তে থাকে।
একটি গুলি বাংলাদেশী সীমান্ত যুবকের পায়ে লাগে। তার বিপ্লব মিয়া ওরফে বিপুল বলে শনাক্ত করা হয়। তার বাড়ি বাংলাদেশের মৌলভীবাজার জেলার অন্তর্গত কুলাউড়া থানার অধীনে দশটেকি গ্রামে, তার পিতার নাম আছকির আলী। গুলিবিদ্ধ পাচারকারীর শরীর থেকে প্রচন্ড রক্তক্ষরণ হতে থাকে যার কারণে সে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারায়।বাংলাদেশী অন্যান্য অনুপ্রেবেশকারীরা পালিয়ে যায়।
আহত বিএসএফ জোয়ানকে চিকিৎসার জন্য কৈলাসহর আরজিএম হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা করানোর জেলা হাসপাতালে রেফার করা হয়। বর্তমানে গুরুতরভাবে আহত বিএসএফ জয়ানের কৈলাসহর উনকোটি জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধী চলছে।
এদিকে আজ দুই দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর মধ্যে এক ফ্ল্যাগ বৈঠক হয়। তারপরেই নিহত পাচারকারী মৃতদেহ কৈলাসহর ঊনকোটি জেলা হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করার পর কৈলাসহর চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী বাংলাদেশের পুলিশ, কৈলাসহর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক জয়ন্ত কর্মকার, কৈলাসহর ইরানি থানার ওসি যতীন্দ্র দাসের উপস্থিতিতে পারভেজ মিয়া ওরফে সাদ্দাম হোসেনের মৃতদেহ বাংলাদেশের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
মৃতদেহ সনাক্ত করতে যুবকের পিতা আছকির আলী কৈলাসহর চেকপোষ্টে আসেন এবং তিনি সনাক্ত করেন যে মৃত যুবক ওনার ছেলে।
এই ব্যাপারে মহকুমা পুলিশ অফিসার জয়ন্ত কর্মকার জানান নিহত ব্যক্তি সীমান্ত পাচারকারী।ভারত সীমান্তে অবৈধভাবে প্রবেশ করে পাচারের কাজে নিয়োজিত ছিল এবং বিএসএফের উপর আক্রমন সংঘটিত করেছিল, বিএসএফ আত্মরক্ষায় গুলি চালালে তার মৃত্যু হয়।
Leave a Reply