সরেজমিন প্রতিবেদন:
ফেনী জেলায় মোট রেল ষ্টেশন আছে ৫ টি । ষ্টেশন গুলো হলো শর্শদি, ফেনী, কালিদহ , ফাজিলপুর ও মুহুরিগন্জ। ষ্টেশন গুলো ঢাকা – চট্টগ্রাম ডাবল লেন মিটার গেজ লাইনে অবস্থিত । এর মধ্যে সচল রয়েছে ফেনী রেলওয়ে ষ্টেশন । এখানে আন্ত-নগর ট্রেনের পাশাপাশি কমিউটার ও লোকাল ট্রেন থেকে যাত্রী উঠানামা করতে পারছে। বাকি চারটি রেলওয়ে ষ্টেশন এ সকল কার্যক্রম বন্দ রয়েছে।
শর্শদি, কালিদহ , ফাজিলপুর ও মুহুরিগন্জ এ চারটি রেলওয়ে ষ্টেশন নতুন করে নির্মান করা হয়েছে। এখানে যাত্রীদের পারাপার এর জন্য রেল লাইনের উপর নির্মান করা হয়েছে ফুট ওভার ব্রীজ । অথচ এসব রেলওয়ে ষ্টেশন এ কোনো প্রকার ট্রেন থামছে না । যার কারনে যে উদ্দেশ্য নিয়ে এ সকল রেলওয়ে ষ্টেশন নতুন করে নির্মান করা হয়েছে তা বাস্তবায়ন সম্ভব হচ্ছে না ।
এ চারটি রেলওয়ে ষ্টেশন এ আনা হয় যাত্রীদের বসার জন্য আধুনিক চেয়ার , অফিসের জন্য চেয়ার টেবিল , আধুনিক রেলওয়ে ষ্টেশন পরিচালনার জন্য বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রনিক্স ডিভাইচ। এ সকল যন্ত্রপাতি ও আসবাবপত্র রুমে তালা বদ্ধ করে রেখে দেয়া হয়েছে। ষ্টেশন এর নতুন তৈরী করা রুম গুলোর জানালার কাচ ভেঙে গেছে । ওয়াশরুমের বেসিন গুলো ভেঙে পড়ে আছে ।দেয়ালের রং খসে পড়ছে । এ সকল নতুন তৈরী করা ষ্টেশন গুলো পাহারা দেয়ার জন্য কোনো প্রকার কর্মকর্তা বা কর্মচারী নাই এখানে ।
ফেনী রেলওয়ে ষ্টেশন এর ষ্টেশনমাস্টার জনাব মো: হারুন এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন , নতুন তৈরী করা ষ্টেশন গুলো পাহারা দেয়ার জন্য কোনো প্রকার কর্মকর্তা বা কর্মচারী এখোনো রেলওয়ে কতৃপক্ষ নিয়োগ দেয়নি । যার কারনে ষ্টেশন গুলো তালা বদ্ধ করে রেখে দেয়া হয়েছে । তিনি আরো বলেন ঢাকা – চট্টগ্রাম রেললাইন আধুনিকায়ন ও পুরাতন ষ্টেশন পুণ নির্মান এর অংশ হিসাবে এ ষ্টেশন গুলো আধুনিকায়ন করা হয় । এ সকল ষ্টেশন পুণ নির্মান এর উদ্দেশ্য ছিলো ফেনী থেকে চট্টগ্রাম ও কুমিল্লার দিকে কমিউটার ট্রেন পরিচালনা করা । কিন্ত জনবল সংকটের কারনে তা সম্ভব হয়নি।
যদি বাংলাদেশ রেলওয়ে নতুন জনবল নিয়োগ দেয় তাহলে এ সকল ষ্টেশন পুণ নির্মান এর উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন সম্ভব হবে । এতে ফেনীর মানুষ সহজে ও কম খরচে ভ্রমন করতে পারবেন । পাশাপাশি রেলওয়ের সম্পদ নষ্ট হওয়া থেকে রক্ষা পাবে । এখান থেকে রেলওয়ের নতুন আয়ের পথ উন্মুক্ত হবে ।
Leave a Reply