বিশেষ সংবাদ:
শক্তিশালী ভূমিকম্পে বিপর্যস্ত তাইওয়ান। বুধবার (৩ এপ্রিল) স্থানীয় সময় সকাল ৮টার দিকে দেশটির পূর্ব উপকূলে ৭ দশমিক ৪ মাত্রার এ ভূমিকম্প আঘাত আনে। এরপর আরও কয়েক ডজন বার তাইওয়ানের ভূমি কেঁপে (আফটারশক) উঠে।
এরপরও আরও ভূকম্পনের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এসব ভূকম্পন কতটা শক্তিশালী হবে তাও অজানা। তাই সবাইকে সতর্ক থাকতে আহ্বান জানিয়েছেন তাইওয়ানের কর্মকর্তারা। খবর আল জাজিরার।
তাইওয়ানে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাত, সুনামি সতর্কতা
তাইপের কেন্দ্রীয় আবহাওয়া প্রশাসনের সিসমোলজিক্যাল সেন্টারের পরিচালক উ চিয়েন-ফু বলেন, ‘ভূমিকম্পটি ভূমির কাছাকাছি এবং এটি অগভীর থেকে আঘাত হেনেছে। এটি তাইওয়ান এবং উপকূলীয় দ্বীপপুঞ্জ জুড়ে অনুভূত হয়েছে।’
এদিকে এ ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। বুধবার (৩ এপ্রিল) এ প্রতিবেদন লেখার সময় ৯ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। খবর বিবিসির।
তাইওয়ান সরকার জানিয়েছে, সুনামির ভয় কেটে গেছে। তবে হতাহতের চিত্র খারাপের দিকে যাচ্ছে।
আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গুরুতর আহত ৭৩৬ জনকে উদ্ধার করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ডজনের বেশি মানুষ ধ্বংসস্তূপের বিভিন্ন স্থানে আটকা পড়েছেন। তাদের অবস্থান শনাক্ত করে উদ্ধার অভিযান চলছে।
এটি দ্বীপ অঞ্চলটির ২৫ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্প। এর ফলে তাইওয়ান ছাড়াও জাপান ও ফিলিপাইনে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছিল।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএসের তথ্য অনুযায়ী, আজকের এই ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল তাইওয়ানের হুয়ালিয়েন শহরের ১৮ কিলোমিটার দক্ষিণে। ভূপৃষ্ঠের ৩৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার গভীরে এর উৎপত্তি বলে জানানো হয়। তবে তাইওয়ানের সেন্ট্রাল ওয়েদার অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বলছে, এই ভূমিকম্পটির গভীরতা ছিল ১৫ দশমিক ৫ কিলোমিটার।
এ কম্পন ছিল খুব তীব্র। হুয়ালিয়েন শহরের এক নারী বলেন, তিনি সকালের নাস্তার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। হঠাৎ কম্পনে ভীত হয়ে পড়েন।
তার ভাষ্য, ‘এটি আমার দেখা সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্প।
অপরদিকে তাইপের একটি হাসপাতালের ৬০ বছর বয়সী কর্মী চ্যাং ইউ-লিন কম্পনকে ‘খুব শক্তিশালী’ বলে বর্ণনা করেন।
তিনি বলেন, ‘মনে হয়েছিল বাড়িটি ভেঙে যাচ্ছে।’
Leave a Reply