সরেজমিন প্রতিবেদন:
রমজান মাসের শুরু থেকেই নানা প্রকার আলোক সজ্জার মাধ্যমে ফেনী শহরকে আকর্ষণীয় করে তোলা হয়। প্রতি বছর এ কাজটি করা হয় ফেনী পৌরসভার উদ্যোগে। এ রমজান মাসে শহরে উদ্বোধন করা হয়েছে একটি ইসলামী ভাস্কর্যের ।এছাড়া ও এ শহরে রয়েছে আরো তিনটি ইসলামী মনুমেন্ট।
ফেনী শহরের ট্রাঙ্ক রোড এবং মিজান রোড এর সংযোগ স্থল এর নাম দেয়া হয়েছে শান্তি চত্বর । এ শান্তি চত্বরে স্থাপন করা হয়েছে আল্লাহর নিরানব্বই নাম খচিত একটি ইসলামী ভাস্কর্যের । গত মার্চ মাসের ১৭ তারিখ নান্দনিক এ ইসলামী ভাস্কর্যের উদ্বোধন করা হয় । ইসলামী এ স্থাপনা দেখতে দিনে এবং রাতে অসংখ্য মানুষ শান্তি চত্বরে ভিড় জমায় । দিনের তুলনায় রাতে ইসলামী এ স্থাপনার দৃশ্য মানুষকে বেশি বিমোহিত করে।
ফেনী শহরের সালাউদ্দিন মোড়ে আর একটি ইসলামী ভাস্কর্যের অবস্থান । ২০২০ সালের নভেম্বার মাসের ১১ তারিখে এ ইসলামী ভাস্কর্যের উদ্বোধন করা হয় । এ ইসলামী মনুমেন্ট এর কারনে এ স্থানের গ্রহনযোগ্যতা সাধারন মানুষের কাছে বৃদ্ধি পেয়েছে।
ফেনী শহরের ঢাকা – চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন রামপুর রাস্তার মাথায় রয়েছে আরো একটি ইসলামী মনুমেন্ট। ইসলামী কেলীওগ্রাফীর মাধ্যমে এ ইসলামী ভাস্কর্যের বিভিন্ন স্থানে আল্লাহ ও রাসূল (স:) এর নাম অংকন করা হয়েছে । দিনে এবং রাতে এ ভাস্কর্যের দৃশ্য মানুষকে বিমোহিত করে ।
ফেনী শহরের ঢাকা – চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন মিয়াজী বাড়ির সামনে ছোট একটি পার্ক রয়েছে । এ পার্ক এ আরেকটি ইসলামী ভাস্কর্যের অবস্থান । রামপুর রাস্তার মাথায় যে ইসলামী মনুমেন্ট রয়েছে এটি তার আদলেই নির্মান করা হয়েছে।
ফেনী শহরকে সর্বসাধারনের কাছে আকর্ষনীয় করতে শহরের ল্যাম্প পোষ্ট গুলোতে লাগানো হয়েছে চাঁদ তারার ডিজাইনে তৈরী করা ঝাড় বাতি । লাল সবুজ ও হলুদ বাতির মিশ্রনে এ সব বাতি সন্ধ্যার পর থেকে জ্বলে ওঠে । শহরের মহিপাল থেকে হাসপাতাল মোড় এবং দাউদপোল থেকে সালাউদ্দিন মোড় পর্য্ন্ত রাস্তার মাজখানের ল্যাম্প পোষ্ট গুলোতে লাগানো হয়েছে এ ঝাড় বাতি।
এছাড়া ঈদকে সামনে রেখে শহরের বিভিন্ন বিপনী বিতানের সামনে করা হয়েছে আলোক সজ্জা এস.এস.কে. রোড, ট্রাঙ্ক রোড, কলেজ রোড এবং মিজান রোডের বিপনী বিতানের সামনে করা হয়েছে এ আলোক সজ্জা । সাধারন ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্যই মূলত তাদের এতো আয়োজন।
Leave a Reply