বিশেষ সংবাদ:
২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল রমনার বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলার ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় ২০১৪ সালের ২৩ জুন আটজনকে মৃত্যুদণ্ড ও ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিলেন বিচারিক আদালত।
এরপর খালাস চেয়ে উচ্চ আদালতে আপিল করেন আসামিরা। রাষ্ট্রপক্ষও মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন চান। বিভিন্ন সময়ে আপিল শুনানির উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা থমকে যায়। ফলে ৮ বছরেও অনুমোদন মেলেনি আসামিদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার।
রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা জানান, আগামী মাসে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শুনানির উদ্যোগ নেওয়ার কথা।
অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, জ্যেষ্ঠ বিচারক ছিলেন তিনি ইতোমধ্যে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে বিচারক হিসেবে নিয়োজিত হয়েছেন এবং উনি কাজ করছেন এ কারণে ওই কোর্টে মামলাটা হয়নি। এখন ঈদের পরে যখন কোর্ট খুলতে তখন আমরা আশা করি এ মামলাটা শুনানির জন্য কোর্টে নিয়ে আসব।
এরই মধ্যে হাইকোর্টে ৩৮৫ বার শুনানির তারিখ পিছিয়েছে। তাই দ্রুত নিষ্পত্তির পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান তারা।
আসামিপক্ষের আইনজীবী শিশির মনির বলেন, আজ পর্যন্ত প্রায় তিনটি কোর্টে মামলার শুনানি শুরু হয়েছিল, এমনকি আংশিক শ্রুত হয়েছিল কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে বারবার সময় চাওয়া হয়। এখনকার যে প্রধান বিচারপতি তিনি যদি মামলা শুনানির জন্য অন্য কোর্টে দেন তখন আবার পুনরায় শুনানি শুরু হবে।
হত্যা মামলায় বিচারিক আদালতের রায় হলেও ২৩ বছর ধরে ঝুলে আছে বিস্ফোরক মামলার কার্যক্রম। আসামিপক্ষ বিচারকের ওপর অনাস্থা জানানোয় বিচার আরও বিলম্বিত হবে বলে মনে করছেন আইনজীবীরা।
২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল রমনার বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ উৎসবে বোমা হামলা চালায় জঙ্গিরা। ঘটনাস্থলেই মারা যান ৯ জন, আহত হন শতাধিক মানুষ।
Leave a Reply