বিশেষ সংবাদ:
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি ও দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির মধ্যে চলমান সংঘাত আরও বেড়েছে। এ কারণে প্রাণ বাঁচাতে বিজিপির ১৬ জন সদস্য পালিয়ে টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন।
রোববার (১৪ এপ্রিল) সকালে টেকনাফের হোয়াইক্যং সীমান্তের খারাংখালি পয়েন্ট ৩ জন ও ঝিমংখালি পয়েন্ট দিয়ে ৬ জন ঢুকেছেন। দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে ৫ জন বিজিপি উপজেলার হোয়াইক্যংয়ের খারাংখালি সীমান্ত অতিক্রম করে তারা বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। আজ আরো ২ জন মিয়ানমারের আর্মি প্রবেশ করে ।
টেকনাফ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মহিউদ্দীন আহমেদ সোমবার (১৫ এপ্রিল) বলেন, সীমান্ত অতিক্রম করে বিজিপির আরও পাঁচ সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। মোট ১৪ জন এসেছেন। আহতদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আমরা আন্তর্জাতিক আইন মেনে তাদের আশ্রয় দিয়েছি।
মিয়ানমারের রাখাইনে দিনের পর দিন সংঘাত বেড়েই চলছে। সপ্তাহে জুড়ে নতুন করে থেমে থেমে ওপার থেকে বিস্ফোরণের শব্দ টেকনাফ সীমান্তের এপারে ভেসে আসছে।
হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আহমেদ আনোয়ারী বলেন,রবিবার সকালে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ৯ জন সদস্য ও রাতে ৫ জন সদস্য মিয়ানমার থেকে পালিয়ে প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশের টেকনাফের হোয়াইক্যং খারাংখালি ও ঝিমংখালি সীমান্তে ঢুকেছে। পরে বিজিবির সদস্যরা তাদের নিরস্ত্র করে, তাদের হেফাজতে নেন।
মিয়ানমারে চলমান সংঘাতের কারণে দেশটির সরকারি বাহিনীর বেশ কিছু সদস্য কয়েক দফায় বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। সর্বশেষ ৩০ মার্চ মিয়ানমার সেনাবাহিনীর তিনজন সদস্য নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন। এর আগে ১১ মার্চ আশ্রয় নেন আরও ১৭৭ জন বিজিপি ও সেনাসদস্য। তারা সবাই নাইক্ষ্যংছড়ি সদরে ১১ বিজিবির হেফাজতে রয়েছেন। এর আগে কয়েক দফায় বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিলেন আরও ৩৩০ জন। ১৫ ফেব্রুয়ারি তাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
Leave a Reply