1. abdullahharun2014@gmail.com : dailysarabela24 :
মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:০৬ অপরাহ্ন
নোটিশ :
দৈনিক সারাবেলা ২৪ , সত্য সংবাদ প্রকাশে আপোষহীন visit . www.dailysarabela24.com অনলাইন ভিত্তিক নিউজ পোর্টাল সংবাদ পড়ুন ও মন্তব্য করুন, আপনার প্রতিষ্ঠানের এড দিন , সংবাদ প্রকাশের জন্য যোগাযোগ করুন - ০১৯৭১-৮৪১৬৪২,০১৩২২-১৭৫০৫২
সংবাদ শিরোনাম:
১৭ বছর পর কারামুক্ত হলেন বিএনপি নেতা পিন্টু জাহাজে ৭ খুন: লাশ নিতে স্বজনদের ভিড়, শিল্প মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি গঠন চাকরি হারিয়ে দিশাহারা বেক্সিমকোর ৫০ হাজার শ্রমিক পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা থেকে খুলনার ট্রেন ভাড়া ও সময়সূচি মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত পলাতক আসামি জংগু’কে দীর্ঘ ২১ বছর পর গ্রেফতার একাধিক দাবিতে অস্থির প্রশাসন, কী করবে অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান উপদেষ্টাকে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার ফোন একনেকে ১০ প্রকল্প অনুমোদন, ব্যয় দুই হাজার কোটি টাকা সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী, তাঁর স্ত্রী ও কন্যার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনা তদন্তে কমিশন গঠন

৪৪ টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মধ্যে মাত্র ৫টি দল ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে

  • আপডেটের সময় : রবিবার, ৫ মে, ২০২৪
  • ১১৯ বার ভিউ

বিশেষ সংবাদ:

চলমান ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে বিরত রয়েছে দেশের বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল। নিবন্ধিত ৪৪টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে হাতে গোনা চার-পাঁচটি ছাড়া কোনও দল স্থানীয় সরকার পরিষদের এই গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। দলীয়ভাবে সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি, জাতীয় পার্টি (জেপি), জাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টির অংশগ্রহণের তথ্য পাওয়া গেছে। এসব দলের অংশগ্রহণও একেবারে সীমিত পরিসরে। শুধু সাংগঠনিকভাবে কিছুটা অবস্থান রয়েছে—এমন এলাকায় তারা প্রার্থীদের মনোনয়ন দিয়েছে।

তবে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তে দলীয় মনোনয়ন না দেওয়ায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও অনুসারীরা স্বতন্ত্রভাবে অংশগ্রহণ করছেন নির্বাচনে। পাশাপাশি আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত জানালেও বিএনপির কিছু নেতাকর্মী ও অনুসারী নির্বাচনের মাঠে রয়েছেন।

যেসব রাজনৈতিক দল ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে বিগত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি, সেসব দল ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনেও অংশগ্রহণ করেনি। সরকারের ঘনিষ্ঠ ও নির্বাচনের সময় আওয়ামী লীগের প্রতি পক্ষপাত ছিল—এমন দলগুলোও অংশগ্রহণ করেনি।

উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে বিরত রয়েছে বিএনপি, এলডিপি, সিপিবি, বাসদ, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, ইসলামী আন্দোলন, বিকল্প ধারা বাংলাদেশ, জেএসডি, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, খেলাফত আন্দোলন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, গণফোরাম, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপসহ আরও বেশ কয়েকটি দল।

গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশের নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মধ্যে ২৮টি অংশ নিয়েছিল। বিএনপিসহ তাদের মিত্ররা ওই নির্বাচন বর্জন করেছিল। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও এ দলগুলো নির্বাচন থেকে বিরত রয়েছে।

গত ১৫ এপ্রিল অনুষ্ঠিত বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বলা হয়—শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ও তার সাজানো নির্বাচন কমিশনের অধীনে এবং প্রশাসন ও পুলিশের প্রকাশ্য একপেশে ভূমিকার জন্য এর আগে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন বর্জন করেছে বিএনপি। এখনও সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হয়নি। বিদ্যমান ‘অরাজক পরিস্থিতি’ আরও অবনতিশীল হওয়ায় আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার যৌক্তিক কারণ রয়েছে।

জানতে চাইলে এলডিপি নেতা সালাহউদ্দিন রাজ্জাক জানান, এলডিপির কোনও নেতা উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না। দলীয়ভাবে নির্বাচন বর্জন করেছে এলডিপি।

ইসলামী আন্দোলনের নেতা আহমদ আবদুল কাইয়ূম এ প্রতিবেদককে জানান, বিগত উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলেও এবার নির্বাচন বর্জন করছে ইসলামী আন্দোলন। তিনি বলেন, ‘উপজেলা নির্বাচন বর্জন করছে ইসলামী আন্দোলন।’

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বিএনপি আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচন বর্জন ও অনুসারীদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা দিলেও উপজেলা নির্বাচনের প্রথম পর্বে অন্তত ৩৮ জন অংশগ্রহণ করছেন চেয়ারম্যান পদে। এদের মধ্যে অন্তত ১৮ জন নেতা দলীয় পদে রয়েছেন। নির্বাচনে অংশগ্রহণকারীদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত রয়েছে বিএনপির। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজনকে শোকজ ও বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপি দল থেকে ৭৩ জনকে বহিস্কার করেছে ।

সম্প্রতি স্থানীয় সরকারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদের জামানত ১০ গুণ বৃদ্ধি করে এক লাখ ও পঁচাত্তর হাজার টাকা নির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন।

উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থীদের নতুন জামানতের নিয়মের বিষয়ে সাইফুল হক বলেন, ‘এটা একটা বড় কারণ অংশগ্রহণ না করার। চূড়ান্ত স্বেচ্ছাচারিতা করে জামানত দশগুণ বাড়ানো হয়েছে। এখানে রাজনীতিমনস্ক ব্যক্তিদের প্রার্থী হওয়ার সুযোগ নেই। লুটেরা মাফিয়াদের সুযোগ দিতেই এই নিয়ম করা হয়েছে, এভাবে বাড়ানো হয়েছে। এটা বাতিল করতে হবে।’

বিগত নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিল তৃণমূল বিএনপি। নতুন নিবন্ধিত এই দলটিও উপজেলা নির্বাচনে কোনও প্রার্থী দেয়নি। দলের মহাসচিব অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, ‘আমাদের একটা ইয়ে ছিল, যেহেতু এমপি নির্বাচন করেছি। উপজেলা নির্বাচনও করতে চাইছিলাম।’

‘কিন্তু যেভাবে এক লাখ টাকা জামানত এবং নির্বাচনের পরিবেশ—তাতে ইন্টারেস্ট ফিল করি না’, বলেন তৈমুর আলম।

তিনি বলেন, ‘আমি এখন লন্ডনে আছি। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবো লন্ডন থেকে ফেরার পর দলের বৈঠক করে—চেয়ারম্যান, নির্বাহী চেয়ারম্যানসহ সবার সঙ্গে আলোচনা করে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে এত টাকা কে দেবে। শুধু সরকারি দলের লোকেরা পারবে এত টাকা দিয়ে নির্বাচন করতে। মূলত সাধারণ মানুষ যেন নির্বাচনে আসতে না পারে, সেজন্যই লাখ টাকা জামানত করা হয়েছে’ বলে দাবি করেন তৈমুর আলম খন্দকার।

সরকারপন্থি দলগুলোরও অনীহা

সরকার সমর্থক দলগুলোর মধ্যেও উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণে তেমন সাড়া নেই। দলীয় প্রতীকে কোনও প্রার্থী দেয়নি এই দলগুলো। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে—বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন, জাকের পার্টি, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, কল্যাণ পার্টি, ইসলামী ঐক্যজোট, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, গণফ্রন্ট ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টি।

কোনও কোনও দলের সূত্র দাবি করেছে, বিগত জাতীয় নির্বাচনে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সহযোগিতা না পাওয়ায় চলমান উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে বিরত রয়েছে বেশ কয়েকটি দল।

ইসলামী ঐক্যজোটের প্রচার সচিব আনছারুল হক ইমরান বলেন, ‘আমরা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছি না। বিক্ষিপ্তভাবে এক-দুজন হয়তো স্বতন্ত্র পরিচয়ে প্রার্থিতা করছে।’

জাকের পার্টির মহাসচিব শামীম হায়দার বলেন, ‘ঠিক ওইভাবে না। আমরা উপজেলা নির্বাচনের প্রথম দুই দফায় কোনও প্রার্থী দেইনি। দুয়েক জায়গায় দিতে পারি পরের পর্বগুলোতে, তখন জানাবো।’

এই দলগুলোর অন্যতম ১৪ দলীয় জোটের শরিক বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন। দলটির মহাসচিব সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘যেহেতু এই নির্বাচন দলীয় প্রতীকে হচ্ছে না, সবাই সবার মতো করছে। আওয়ামী লীগও দলীয় প্রতীক দেয়নি। এ জন্য আমাদের যেসব প্রার্থী আছেন, তারা তাদের মতো করছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী চার-পাঁচ জন আছে।’

অংশগ্রহণ না করার কারণ সম্পর্কে রেজাউল হক বলেন, ‘আমরা আসলে বিগত নির্বাচনে ওইভাবে সহযোগিতা পাইনি। দলগতভাবে ভিন্নভাবে চিন্তা করছি।’

সরকারপন্থি দলগুলোর মধ্যে জাতীয় পার্টি, জেপি, জাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টি অংশগ্রহণ করেছে। তবে সাংগঠনিকভাবে যেখানে শক্তিশালী, এমন জায়গা দেখে প্রার্থী দিয়েছে দলগুলো।

সরকারপন্থি একটি দলের শীর্ষ নেতা এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘২০১৫ সালে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক যুক্ত করে সরকার। দিনে দিনে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রতীক আসলে বিভেদ ও বিভাজন আরও বাড়িয়েছে। রাজনৈতিক কারণেই আবার এবার আওয়ামী লীগ দলীয় প্রতীক দেয়নি। যে কারণে অন্যান্য দলও প্রতীক নিয়ে আশাবাদী নয়।’

এ বিষয়টির একটি চিত্র উঠে আসে ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী তালিকা থেকে। দলটি প্রথম ধাপে ছয় জনকে মনোনীত করে প্রার্থী হিসেবে। এর মধ্যে দুজনই স্বতন্ত্র প্রতীকে নির্বাচন করছেন।

দলের নেতা মোস্তফা আলমগীর রতন বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, তারা দ্বিতীয় ধাপের জন্য এখনও ভাবনা-চিন্তা শুরু করেননি। প্রথম ধাপে ছয় জনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে দুই জন করবেন স্বতন্ত্র প্রতীকে।

১৪ দলীয় জোটের শরিক জাসদ দুই ধাপে তিন জনকে মনোনয়ন দিয়েছে। জাসদের দফতর সম্পাদক সাজাদ হোসেন জানান, চেয়ারম্যান পদে তিন জন প্রার্থিতা করছেন জাসদের। একেএম ছামেদুল হক শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলা, আফজাল হোসেন খান জকি মানিকগঞ্জ জেলার ঘিওর উপজেলা ও মো. জামাল হোসেন পলাশ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলায় নির্বাচন করছেন।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে ভাগ করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ©2024 ওয়েবসাইট এর কোনো লেখা, ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি
Desing & Developed BY ThemeNeed.com