বিশেষ সংবাদ:
৯টি রাজ্য ও একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলসহ মোট ৯৬টি নির্বাচনি এলাকার লাখো ভোটার লোকসভা নির্বাচনের চতুর্থ দফায় ভোট দিচ্ছেন।
ভারতে লোকসভা নির্বাচনের চতুর্থ দফার ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে সোমবার (১৩ মে)। ৯টি রাজ্য ও একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলসহ মোট ৯৬টি নির্বাচনি এলাকার লাখো ভোটার তাদের নাগরিক অধিকার প্রয়োগ করছে।
৬ সপ্তাহের বিশাল এই কর্মযজ্ঞের অর্ধেক ইতোমধ্যে শেষ করেছে ভারতের নির্বাচন কমিশন। চতুর্থ দফার ভোটের মাধ্যমে দ্বিতীয়ার্ধের ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু করল তারা।
চলমান এ নির্বাচনে জিতে টানা তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠন করতে জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। চতুর্থ দফায় উত্তর প্রদেশ ও মধ্য প্রদেশের মতো রাজ্যে ভোট হওয়ায় হিন্দু জাতীয়তাবাদী দল বিজেপির জন্য এ ধাপের ভোট তাৎপর্যপূর্ণ হবে বলছেন ভারতের রাজনীতি বিশ্লেষকরা।
চতুর্থ দফার নির্বাচনে মহারাষ্ট্র ও বিহারের ভোটাররাও ভোট দেবেন যেখানে বিজেপির জোটভুক্ত দলগুলো শক্তিশালী।
বিহারের সমষ্টিপুর শহরে সকাল ৭টা থেকে ভোট গ্রহণ কার্যক্রম শুরু হয়। সকাল থেকেই সেখানে ভোটারদের লম্বা লাইন দেখা গেছে। সেখানকার ভোটাররা বলছেন, সম্প্রতি খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, কর্মসংস্থানের সংকট এবং রাজ্যের সার্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কথা বিবেচনায় নিয়েই ভোট দেবেন তারা।
এ রাজ্যে কংগ্রেস ও তাদের জোটভুক্ত দলগুলোর চেয়ে বিজেপির সমর্থন বেশি বলে ভোটের আগে বিভিন্ন জরিপে বলা হয়েছে। ফলে বিহারের ভোটে মোদির পাল্লা ভারী হবে বলেই মত বিশ্লেষকদের।
সোমবার ভারতের দক্ষিণাঞ্চলের ৫ রাজ্যের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ২০১৪ সালে চলমান শাসনের প্রথম মেয়াদে মোদি নির্বাচিত হওয়ার পর দক্ষিণের এই রাজ্যগুলোতে খুব বেশি সুবিধা করতে পারেনি বিজেপি। মোদির টানা তৃতীয়বার ক্ষমতায় বসতে তাই এবারের নির্বাচনে বিজেপি এসব রাজ্যে কতগুলো আসন পাচ্ছে, তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
২০১৯ সালে স্বায়ত্তশাসন খর্ব করার পর কাশ্মিরেও এবার ভোট গ্রহণ হচ্ছে। চতুর্থ দফায় সোমবার কাশ্মিরের রাজধানী শ্রীনগরে ভোট গ্রহণ চলছে। ২০১৯ সালে স্বায়ত্তশাসন খর্ব করার পর এটিই কাশ্মিরে প্রথম ভোট গ্রহণ। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এ উপত্যকায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে না মোদির হিন্দুত্ববাদী দল বিজেপি।
ভারতে গত ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া ৭ দফার এ ভোট গ্রহণ কার্যক্রম চলবে আগামী ১ জুন পর্যন্ত। এ সময়ের মধ্যে ৯৭ কোটি ভোটার দেশজুড়ে ৫৪৩ জন লোকসভা সদস্য নির্বাচন করতে ভোট দেবে। ভোট গণনা শেষে আগামী ৪ জুন ফলাফল ঘোষণা করা হবে।
Leave a Reply