বিশেষ সংবাদ:
ইয়েমেনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হুতিদের ১৩টি লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের সমন্বয়ে গঠিত জোট। এতে কমপক্ষে ১৬ জন নিহত এবং কমপক্ষে ৩৫ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইয়েমেনের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারের একজন মুখপাত্র।
মার্কিন সামরিক বাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, মার্কিন ও ব্রিটিশ বাহিনী ইয়েমেনে ১৩টি হুতি লক্ষ্যবস্তুতে ‘আত্মরক্ষায়’ হামলা চালিয়েছে।
একটি বিবৃতিতে সেন্টকম বলেছে ‘আমাদের বাহিনীকে রক্ষা করতে, নৌ চলাচলের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে এবং মার্কিন, জোট এবং বাণিজ্যিক জাহাজের জন্য আন্তর্জাতিক জলসীমাকে আরও নিরাপদ করতে এই পদক্ষেপগুলো প্রয়োজনীয়।’
হুতি-চালিত প্রধান টেলিভিশন চ্যানেল আল মাসিরাহ জানিয়েছে, ইয়েমেনের বন্দর শহর হোদেইদাহ, রাজধানী সানা, তাইজ এবং আশেপাশের ছোট শহরগুলোতে মার্কিন-ব্রিটিশ বাহিনীর যৌথ হামলায় নিহতের সংখ্যা ১৬ জনে দাঁড়িয়েছে, এছাড়া কমপক্ষে ৩৫ জন আহত হয়েছে। হতাহতদের বেশির ভাগই বেসামরিক নাগরিক।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মার্কিন কর্মকর্তারা দ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে (এপি) বলেছেন, হুতি গোষ্ঠীর ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চার এবং কমান্ড ও কন্ট্রোল সাইটসহ সামরিক স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে।
এদিকে যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বেসামরিকদের হতাহতের ঝুঁকি কমাতে সতর্কতার সাথে হামলা চালানো হয়েছে।
অন্যদিকে সামাজিক প্লাটপর্ম এক্স-এর একটি পোস্টে সিনিয়র হুতি কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুলসালাম বলেছেন, ‘গাজায় ফিলিস্তিনিদের সমর্থনের জন্য “শাস্তি” হিসেবে ইয়েমেনের উপর নৃশংস আগ্রাসন চালানো হচ্ছে।’
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসনের পর থেকে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসকে সমর্থন জানিয়ে দুই মাস ধরে লোহিত সাগরে চলাচলরত বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা চালিয়ে আসছে ইরান সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীরা। এতে লোহিত সাগরের এ রুটে চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে ম্যার্স্ক, সিএমএ সিজিএমসহ বড় বড় শিপিং প্রতিষ্ঠানগুলো।
এরপরই হুতিদের আক্রমণ থেকে লোহিত সাগরের এ সমুদ্র পথকে নিরাপদ রাখতে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, ইতালি, কানাডাসহ ১০টি দেশ নিয়ে সামুদ্রিক জোট গঠন করে যুক্তরাষ্ট্র। গত ১২ জানুয়ারি থেকে হুতিদের অবস্থান লক্ষ্য করে ইয়েমেনে বেশ কয়েক দফায় সরাসরি বিমান হামলা চালায় ব্রিটিশ ও মার্কিন বাহিনী।
Leave a Reply