বিশেষ সংবাদ:
নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ম্যাচ শুরুর আগেই ডালাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়ামে গ্যালারি দখলে নিয়েছিল নেপালের ক্রিকেট ভক্তরা। তাদের হর্ষধ্বনি ও মেক্সিকান ওয়েভে মেতে উঠেছিল পুরো স্টেডিয়াম। নেপালের ক্রিকেটপ্রেমীদের উচ্ছ্বাস দেখে মনেই হচ্ছিল না, খেলাটি নেপালে নয় যুক্তরাষ্ট্রে হচ্ছে।
ম্যাচ শেষে অবশ্য নেপাল-সমর্থকদের সেই উল্লাস স্থায়ী হয়নি।
বোলিং-ফিল্ডিংয়ে দারুণ পারফরম্যান্সের পর ম্যাক্স ও’ডাউডের অপরাজিত ফিফটিতে ৬ উইকেটে ম্যাচটা জিতেছে সহযোগী দেশগুলোর পরাশক্তি খ্যাত নেদারল্যান্ডস।
বাজে আবহাওয়ার কারণে ম্যাচটির শুরু পিছিয়ে যায়। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে টস জিতে নেপালকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় ডাচরা। ব্যাট হাতে মোটেই সুবিধা করতে পারেনি দক্ষিণ এশিয়ার দেশটি। ১৯.২ ওভারে নেপাল গুটিয়ে যায় ১০৬ রানে। নেদারল্যান্ডস জেতে ৮ বল হাতে রেখেই।
ডালাসে শুরু থেকে দারুণ বোলিং করা নেদারল্যান্ডসের বোলারদের সামনে থিতু হতে পারেননি নেপালের ব্যাটসম্যানরা।
এক দশক পর বিশ্বকাপে ফেরা দলটি ৮৪ রান তুলতেই হারায় ৭ উইকেট। অধিনায়ক রোহিত পৌডেলের ৩৫ রান এবং করণ কেসির ১৭ রানে ভর করে এক শ রান পার করে নেপাল। ডাচদের হয়ে বল হাতে দারুণ নৈপুণ্য দেখান টিম প্রিঙ্গেল ও লোগান ফন বিক। দুজনই নেন ৩টি করে উইকেট, ২টি করে উইকেট নেন পল ফন মিকেরেন ও বাস ডি লিডি।
রান তাড়ায় দ্বিতীয় ওভারেই মাইকেল লেভিটকে (১) হারায় নেদারল্যান্ডস। তবে দলকে সতর্কতার সঙ্গে এগিয়ে নিতে থাকেন ও’ডাউড এবং বিক্রম সিং। ২২ রান করে ফিরে যান বিক্রম সিং, দলীয় ৭১ রানে রানআউট হয়ে ফেরেন সিব্রান্ড এঙ্গেলব্রেখটও (১৪)। বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস (৫)। তবে এক প্রান্ত আগলে দলকে টেনে নেন ও’ডাউড।
শেষ দিকে নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে নেদারল্যান্ডসের ওপর চাপ তৈরি করে নেপাল। ১৮তম ওভারে নেপাল অধিনায়ক রোহিত যদি ও’ডাউডের সহজ ক্যাচ ফেলে না দিতেন, তবে ম্যাচটা আরও রোমাঞ্চকর হয়ে উঠতে পারত। জীবন পেয়ে নেপালকে অবশ্য আর কোনো সুযোগ দেননি ও’ডাউড। ৪৮ বলে ৫৪ রানে অপরাজিত থেকে নেদারল্যান্ডসকে এনে দেন দারুণ এক জয়।
Leave a Reply