সরেজমিন প্রতিবেদন:
গতকাল শুক্রবার ৭ জুন ২০২৪ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে সোনালী দল বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এর উদ্যোগে এক সেমিনারের আয়োজন করা হয় । উক্ত সেমিনারের বিষয়বস্তু ছিল শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়ার গৃহীত কর্মসূচী ও নীতি: বাংলাদেশের কৃষি বিপ্লব ও পল্লী উন্নয়নের মূলভিত্তি। উক্ত সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সোনালী দলের সভাপতি জনাব গোলাম হাফিজ কেনেডি। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সোনালী দলের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ। অনুষ্ঠানে অনান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক ডা: এ জেড এম জাহিদ হোসেন, বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব, জনাব কাদের গনি চৌধুরী, ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এর সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক জানাব ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম, এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এনি ।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক গোলাম হাফিজ কেনেডি। তিনি তার প্রবন্ধে জিয়াউর রহমানের কৃষিতে অবদান নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি তার আলোচনাকে আটটি ভাগে ভাগ করেন। জিয়াউর রহমানের খাদ্যনীতি, কৃষি সংস্কার নীতি,কৃষি লোন নীতি, যুব উন্নয়ন কর্মসূচী,কৃষি শিল্প উন্নয়ন নীতি, কৃষি গভেষনার উন্নয়ন নীতি এবং পল্লী উন্নয়ন নীতি । তিনি জিয়াউর রহমানের সময় গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচিরও আলোকপাত করেন। জিয়াউর রহমানের সময় প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সম্বন্ধে আলোকপাত করেন। এই সমস্ত প্রতিষ্ঠান কিভাবে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে সাহায়তা করেছিল তাও আলোচনা করেন । তিনি জিয়াউর রহমানকে বাংলাদেশের সবুজ বিপ্লবের জনক হিসেবে অভিহিত করেন।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এনি বলেন , জিয়াউর রহমানকে নিয়ে যা আলোচনা করার তা আমার অগের বক্তা করে ফেলেছেন তাই আমি আর ওনাকে নিয়ে বেশি কিছু বলব না তাই আমি আমার অনুরোধ আজকের এই অনুষ্ঠানে বর্তমান সরকারের অবস্থা নিয়ে কিছু কথা বলতে চাই বর্তমান সরকার পুরোপুরি দুর্নীতিতে নিমগ্ন তার এই তারা প্রতিনিয়ত ও দুর্নীতি করে যাচ্ছে তাদের দুর্নীতির আকাশ অনেকগুলো ঘুড়ি। মাঝে মাঝে একটি দুটি গুড়ি ছেড়ে যায় তাতে কিন্তু তাদের দুর্নীতি কমে না কারণ তাদের যে দুর্নীতির যে নাটাই সে নাটাই এখনো অক্ষুন্ন রয়েছে যতক্ষণ না দুর্নীতির নাটাই আমরা ভেঙে ফেলতে পারব ততক্ষণ পর্যন্ত এ দেশে দুর্নীতি চলতেই থাকবে তাই এই দুর্নীতি কারীদের বিরুদ্ধে আমাদেরকে সোচ্চার হতে হবে দুর্নীতিবাজদের মূল নাটাই হচ্ছে শেখ হাসিনা তাই আসুন আমরা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে থাকি । অবশ্যই শেখ হাসিনার পতন হবে ইনশাল্লাহ ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, জিয়াউর রহমান তার মাত্র সাড়ে চার বছরের শাসনামলে খাদ্যে এবং কৃষিতে যে অনবদ্য ভূমিকা রেখেছেন তা সত্যিই প্রশংসনীয়। তার এ উদ্যোগ দেশের দুর্ভিক্ষ আক্রান্ত মানুষকে পুনরায় আসার সঞ্চার করেছিলেন। তিনি যে নীতিগুলো গ্রহণ করেছিলেন ১৯ দফা ছিল তার অন্যতম। ১৯ দফার বাস্তবায়নে তিনি ছিলেন সচেষ্ট। তিনি শুধু মুখে বলেই খান্ত হন নি । তিনি নিজে বাস্তবায়নে কার্যকরী ভূমিকা রেখেছেন। তিনি নিজে খাল খনন করেছেন। জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছেন। জনগণকে কৃষিকাজে,মৎস্য চাষ উৎবুদ্ধ করেছেন। তিনি বলেছেন যার কিছু নেই তার বাড়ির পাশে যেন তিনি কৃষিকাজ করেন। এভাবে তিনি উৎসাহ ব্যান্জক কথার মাধ্যমে জনগণকে উৎসাহিত করতে সক্ষম হয়েছিলেন। জিয়ার একটি গল্প স্মরণ করিয়ে দেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, একদিন জিয়াউর রহমান একজন বুড়ির বাড়িতে যান। বুড়ির বাড়িতে গিয়ে তিনি তার কাছে এক গ্লাস পানি চান। পানি চাওয়ার পর বুড়ি তাকে শুধুমাত্র এক গ্লাস পানি দিয়েছিল। তখন তিনি ওই বুড়ি মাকে বললেন। আপনি শুধু আমাকে এক গ্লাস পানি কেন দিলেন? বুড়িমা বললেন, আমার বাড়িতে আর কোন কিছু নেই। তখন জিয়াউর রহমান বললেন, যদি আপনি আপনার বাড়িতে একটি পেয়ারা গাছ বা একটি পেপে গাছ লাগাতেন তাহলে আপনি তো আমাকে একটি পেয়ারা বা পেঁপে দিতে পারতেন। তখন ওই বুড়িমা বুঝতে পারে। তিনি চাইলেই তার বাড়ির আশেপাশে কৃষিকাজ করতে পারেন। এরকম ঘটনা গুলো থেকে আমরা শিক্ষা নিতে পারি যে, আমরা আমাদের বাড়ির আশেপাশে কোনো পতিত জমি রাখবো না। কৃষি কাজের মাধ্যমে আমরা সফলতা লাভ করতে পারব। তিনি বলেন বর্তমানে যে একটি বাজেট দেয়া হয়েছে। তা কোনভাবেই কৃষি বান্ধব নয়। এখানে কৃষকদের কে বঞ্চিত করা হয়েছে। সবচাইতে বেশি অর্থ বারাদ্ধ দেয়া হয়েছে যোগাযোগ খাতে । তিনি বলেন যে এই দেশ খাদ্য সংকটে পড়বে । তখন আর কিছুই করার থাকবে না। কথা দিয়ে সরকারের পক্ষে তখন সঠিকভাবে আর দেশ পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই আসুন আমরা এই সরকারের বিরুদ্ধে একতা গড়ে তুলি। যে কোন মূল্যে এ সরকারের পতন ঘটাতে হবে। যে বাজেট তারা দিয়েছেন এ বাজেট সম্বন্ধে আমার বলার কিছুই নাই। আপনাদেরকে শুধু ডেইলি স্টার এর একটি কার্টুন দেখাতে চাই। এখানে দেখা যাচ্ছে একটি হাতি সবকিছু গ্রাস করে খাচ্ছে। ঠিক তেমনিভাবে সরকারের দেশে সবকিছু গ্রাস করে খাচ্ছে। তাই এ দানবীয় সরকারকে দমাতে হবে। এ ধরনের সরকারকে দমাতে হলে অবশ্যই জনগণের মধ্যে একতা করে চলতে হবে।
Leave a Reply