বিশেষ সংবাদ:
ভারি বৃষ্টিতে সিলেট নগরে ভয়াবহ জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। পানিতে তলিয়ে গেছে নগরের বেশিরভাগ এলাকা। ঈদের দিন সকালে এমন পরিস্থিতির কারনে দুর্ভোগে পড়েছেন নগরবাসী। জলাবদ্ধতার কারনে নগরের অনেক এলাকায় ঈদগায়ের ঈদের জামাত পেছানো হয়। বাসা বাড়ি ও সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় কোরবানি দেয়া নিয়েও দুশ্চিন্তায় নগরবাসী।
এদিকে পাহাড়ি ঢলে নগরের বাইরে উপজেলাগুলোতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। বিশেষত সুনামগঞ্জ শহরে ঢুকে পড়েছে বন্যার পানি।
জানা গেছে, গতকাল রোববার রাত থেকেই সিলেটে ভারি বৃষ্টি হচ্ছে। যা আজ সোমবার সকাল পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। এতে সিলেট নগরের অর্ধেকের বেশি এলাকা জলমগ্ন হয়ে গেছে। কোথায়ও হাটু সমান, কোথাও কোমর সমান পানিতে ডুবে আছে নগর।
আজ সোমবার (১৭ জুন) ঈদুল আজহার ভোরে নগরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ও বিভিন্ন এলাকার মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করে এমনটা জানা গেছে। পানিতে নিমজ্জিত হয়ে আছে অনেক এলাকার মসজিদ ও ঈদগাহ।
সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহকারি আবহাওয়াবিদ শাহ মো সজিব জানান, রোববার সকাল ৬টা থেকে সোমবার সকাল ৬ টা পর্যন্ত সিলেটে ১৭৩.৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। আরও দুদিন এমন বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
সিলেট সিটি করপোরেশনের ১৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সান্তনু দত্ত সন্তু জানান, রোববার রাতেই আমার ওয়ার্ডের তালতলা, মাছুদিঘীর পাড়, জামতলা, মনিপুরী রাজবাড়ী, রামের দিঘীরপাড়, খুলিয়া পাড়া, তোপখানাসহ প্রায় সকল এলাকা জলমগ্ন হয়ে যায়। মানুষের বাসা-বাড়িতে পানি ঢুকে পড়ায় ঈদ উদযাপনে ভাটা পড়েছে।
নগরের বনকলা পাড়া এলাকার আব্বাসী জামে মসজিদে পানি ঢুকে পড়েছে। এই মসজিদে সকালে ঈদের জামাত হওয়ার কথা ছিল। সকাল থেকে স্থানীয়রা মসজিদ থেকে পানি সেচে বের করার চেষ্টা করেছেন।
এদিকে সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থতির অবনতি হয়েছে। সুরমা নদীর পানি সুনামগঞ্জ পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানিতে তলিয়ে গেছে সুনামগঞ্জ পৌর শহরের বেশ কয়েকটি এলাকার। এসব এলাকার বাসা বাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে।
এছাড়া জেলার ছাতক, দোয়ারাবাজার, সুনামগঞ্জ সদর ও তাহিরপুর উপজেলার অন্তত ৩০ গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে আছে। জেলার অন্তত শতাধিক অভ্যন্তরীণ সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন বাসিন্দারা।
তথ্যসূত্র-দৈনিক বাংলা
Leave a Reply