বিশেষ সংবাদ:
রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করছে সরকার। তাই, তার মুক্তির দাবিতে শিগগিরই কর্মসূচি ঘোষণা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।
সোমবার রাতে অনুষ্ঠিত দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকের বিষয়বস্তু তুলে ধরতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। তবে, ঠিক কী ধরনের কর্মসূচীর আয়োজন হতে পারে তা জানাননি ফখরুল।
তিনি বলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আন্দোলন গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেই লক্ষে প্রয়োজনীয় কর্মসূচি প্রণয়নের সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অবদান, সংগ্রাম ও আত্মত্যাগ সাম্প্রতিক গণতান্ত্রিক বিশ্বে অতুলনীয়। খালেদা জিয়াকে পরিকল্পিতভাবে মিথ্যা মামলায় সাজা প্রদান করে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে দেয়ার লক্ষে এই হীন চক্রান্ত করছে সরকার। শুধু রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তাকে বন্দি করে রাখা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং সংবিধানবিরোধী। জামিন পাওয়া তার সাংবিধানিক অধিকার।
খালেদা জিয়া দীর্ঘ দিন ধরে বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছেন জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, চিকিৎসকেরা তার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর সুপারিশ করেছেন। দলের পক্ষ থেকে তাকে মুক্তি দিয়ে বিদেশে পাঠানোর দাবি জানানো হয়েছে। এমন কি পরিবারের পক্ষ থেকে দুই বার তার বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি চাওয়া হয়েছে। কিন্তু অবৈধ সরকার তাদের ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতে তাকে হত্যার উদ্দেশে উন্নত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করেছে। অনতিবিলম্বে খালেদা জিয়াকে নিঃশর্ত মুক্তি দাবি জানাচ্ছি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ভারতের সঙ্গে কোনো বিরোধ নেই। আমাদের সরকার তিস্তাসহ পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় করতে পারেনি। এরা দেশপ্রেমিক সরকার নয়, দেশবিরোধী সরকার। দেশের মানুষের প্রতি কোনো দায়বদ্ধতা তাদের নেই। ভারতের রেল লাইন কানেক্টেভিটিতে বাংলাদেশে স্বার্থ কী? আমরা এ কথা বলছি।
মির্জা ফখরুল জানান, স্থায়ী কমিটির সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে দেশটির সঙ্গে দুটি চুক্তি, পাঁচটি নতুন সমঝোতা স্মারক এবং তিনটি চুক্তি নবায়নসহ ১০টি চুক্তি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ভারতকে সব ধরনের সুবিধা দিয়েও ভারতের কাছে থেকে বাংলাদেশের কোনো স্বার্থ আদায় করতে শেখ হাসিনা সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছেন। এটা ম্যান্ডেটহীন অবৈধ সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতি বহিঃপ্রকাশ।
তথ্যসূত্র-একাত্তর
Leave a Reply