1. abdullahharun2014@gmail.com : dailysarabela24 :
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:০২ অপরাহ্ন
নোটিশ :
দৈনিক সারাবেলা ২৪ , সত্য সংবাদ প্রকাশে আপোষহীন visit . www.dailysarabela24.com অনলাইন ভিত্তিক নিউজ পোর্টাল সংবাদ পড়ুন ও মন্তব্য করুন, আপনার প্রতিষ্ঠানের এড দিন , সংবাদ প্রকাশের জন্য যোগাযোগ করুন - ০১৯৭১-৮৪১৬৪২,০১৩২২-১৭৫০৫২
সংবাদ শিরোনাম:
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিশ্চিত হলো বাংলাদেশের দুই ম্যাচের সূচি বিশ্বে এই প্রথম প্রধানমন্ত্রী-মসজিদের ইমাম একসঙ্গে পালিয়েছেন: দুদক চেয়ারম্যান আন্তর্জাতিকভাবে বঙ্গোপসাগর বড় বড় শক্তির নজরে পড়েছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা সচিবালয়ে বড় জমায়েত প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের বদলে গেলো যমুনা নদীতে নবনির্মিত রেলসেতুর নাম আরাকান আর্মির সঙ্গে আমরা দর কষাকষি করতে পারি না: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা উচ্চ মূল্যস্ফীতির মধ্যেও বড় বাজেট যুক্তরাষ্ট্রে ‘শাটডাউন’ ঠেকাতে শেষমেশ বিল পাস করল প্রতিনিধি পরিষদ অটোরিকশার সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে, নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে: ডিএমপি কমিশনার উপদেষ্টা হাসান আরিফ আর নেই

৬ ও ৭ জানুয়ারী বিএনপি র ৪৮ ঘন্টার হরতাল ।

  • আপডেটের সময় : শনিবার, ৬ জানুয়ারী, ২০২৪
  • ১৩৮ বার ভিউ

বিশেষ প্রতিবেদন:
বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণের দিনসহ দুই দিন হরতাল ঘোষণা করেছে।

সাতই জানুয়ারির ভোট বর্জন ও অসহযোগ আন্দোলনের পক্ষে শনিবার ছয়ই জানুয়ারি থেকে আটই জানুয়ারি পর্যন্ত ৪৮ ঘণ্টার হরতাল ঘোষণা করেছে বিএনপি। ছয়ই জানুয়ারি সকাল ছয়টা থেকে বিএনপির এই কর্মসূচি দেয়া হয়েছে।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ইউটিউবে এক জরুরী সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন।

তবে, এর আগে ভুল করে ছয়ই ডিসেম্বর বলা হয়েছিলো বলে রুহুল কবির রিজভী সংশোধনী দিয়েছেন একটি ইউটিউব চ্যানেলে।

এছাড়া আরেকটি প্রেস রিলিজে পাঁচই জানুয়ারি মিছিল ও গণসংযোগ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে দলটি।

এই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘অবৈধ আওয়ামী সরকারের পদত্যাগ, নির্বাচন-কালীন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার পুন:প্রতিষ্ঠার এক দফা দাবিতে শুক্রবারের কর্মসূচি দেয়া হয়েছে’।

সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের ১৮৫ জনের বেশি নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। মোট ১১টি মামলায় ৯৩৮ জনের বেশি নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।

সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করছে বিএনপি।

এর আগে গত গত ২৬শে ডিসেম্বর থেকে থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মানুষকে ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়ে লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করছে দলটি।

সাতই জানুয়ারির নির্বাচন বর্জন করেছে বিএনপি এবং সমমনা দলগুলো।

বৃহস্পতিবার বিএনপির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে ২৪ হাজারের বেশি নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ঢাকায় গত ২৮শে অক্টোবর বিএনপির মহা-সমাবেশের পরদিন সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল আহবান করেছিল বিএনপি। পরে আরো কয়েক দফায় হরতাল ডাকা হয়।

নির্বাচন বর্জন এবং নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিএনপি হরতালের পাশাপাশি দফায় দফায় অবরোধ কর্মসূচি ও পালন করে। এরপর তফসিল ঘোষণার পর ২০ ডিসেম্বর অসহযোগ কর্মসূচি ঘোষণা করে দলটি।

এ কর্মসূচিতে সরকারকে সকল প্রকার ট্যাক্স, খাজনা, ইউটিলিটি বিল না দিতে আহবান জানায় দলটি। একইসাথে নেতাকর্মীদের আদালতে হাজিরা না দিতে নির্দেশনা ও দেয়া হয়।

তবে বিএনপির এই কর্মসূচি বাস্তবে খুব একটা কার্যকর হতে দেখা যায়নি। এই কর্মসূচি নিয়ে দলটির নেতাদেরও কেউ কেউ তখন বিস্ময় প্রকাশ করেছিলেন।

ওই সংবাদের পর ২৭ শে ডিসেম্বর আবার বিএনপি সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম আদালত বর্জনের কর্মসূচি ঘোষণা করে।

পহেলা জানুয়ারি থেকে সাতই জানুয়ারি পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ, হাইকোর্ট বিভাগসহ সারাদেশের সব আদালত বর্জনের কর্মসূচি দেয়া হয়। বিএনপি ঘোষিত অসহযোগ আন্দোলনের সাথে সংহতি জ্ঞাপন করে ওই কর্মসূচি দেয়া হয়।

গত কয়েক মাস ধরে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনগুলোও পৃথকভাবে কর্মসূচি পালন করছে।

ডিসেম্বরের ২০ তারিখে অসহযোগ কর্মসূচির ডাক দিয়ে সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছিলেন, “অবৈধ সরকারকে অসহযোগিতার বিকল্প নেই। সাতই জানুয়ারির ডামি নির্বাচন বর্জন করুন। আপনারা ভোট কেন্দ্রে যাবেন না, এটা আপনার অধিকার। কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দায়িত্ব পালন থেকে বিরত থাকুন”।

সেসময় ঘোষিত এ কর্মসূচি নিয়ে খোদ বিএনপির মধ্যেই বিস্ময় দেখা দেয়।

দলের বিভিন্ন পর্যায়ে একাধিক নেতা বিবিসি বাংলাকে সে সময় জানিয়েছিলেন সাধারণত সরকার বিরোধী আন্দোলনের কর্মসূচি যাদের সাথে আলোচনা করে চূড়ান্ত করা হয়, অসহযোগ কর্মসূচির ক্ষেত্রে সেটি হয়নি।

বরং এটি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান একক সিদ্ধান্তেই লন্ডন থেকে ঘোষণা করেছেন।

যদিও মি. রহমানের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত দলটির আইন বিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল বলেছিলেন, কর্মসূচি যথাসময়েই এসেছে বলে তারা মনে করেন।

গত ২৮ অক্টোবর পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে মহাসমাবেশ পণ্ড হয়ে যাওয়ার পর থেকে চার দফায় পাঁচ দিন হরতাল এবং ১২ দফায় ২৩ দিন অবরোধ পালন করেছে বিএনপি।

এর মধ্যে ভোট বর্জনে অসহযোগের ডাক দিয়ে দ্বিতীয় দফায় গণসংযোগ ও মিছিলের কর্মসূচি দিল দলটি।

এদিকে, দলটি অভিযোগ করে আসছে, বিএনপির বহু সংখ্যক নেতাকর্মীকে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

সর্বশেষ ২৮শে ডিসেম্বর বিএনপির দুইজন ভাইস চেয়ারম্যান – আলতাফ হোসেন চৌধুরী ও হাফিজ উদ্দিন আহমেদকে ২০১১ সালের এক মামলায় একুশ মাস করে কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

তারা দুজনই বিএনপি আমলে মন্ত্রী ছিলেন। এর মধ্যে বিমান বাহিনীর সাবেক প্রধান মি. চৌধুরী অন্য মামলায় আটক হয়ে আগে থেকেই কারাগারে আছেন।

বিএনপি থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত চার মাসে অন্তত একাশিটি মামলায় দলটির নয়জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ এবং দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও সিনিয়র নেতা আমান উল্লাহ আমান-সহ দেড় হাজারের বেশি নেতাকর্মীর বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড হয়েছে।

যার মধ্যে দশ বছর আগে গুম হওয়া ঢাকার শাহীনবাগের বিএনপি কর্মী সাজেদুল ইসলাম সুমনও রয়েছে। তাকে ২০১৩ সালের এক মামলায় গত মাসেই আড়াই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে ঢাকার একটি আদালত।

ওদিকে, কারাদণ্ড হওয়ার পর উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়ে কারাগার থেকে বেরিয়ে এসেছেন দলটির দুই নেতা রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু ও মোহাম্মদ শাজাহান।

বিএনপির দাবি গত ১৫ই নভেম্বর সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে এ পর্যন্ত ৪৫হাজার ৫৫৩ জনের বেশি নেতা-কর্মীকে আসামি করে ৪২৩টি নতুন মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং এ সময়ে আটক করা হয়েছে অন্তত ১১ হাজার ৭৫৫ জনকে।

দলটির দাবি ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় দেড় লাখ মামলায় বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর পঞ্চাশ লাখেরও বেশি নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে ভাগ করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ©2024 ওয়েবসাইট এর কোনো লেখা, ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি
Desing & Developed BY ThemeNeed.com