বিশেষ প্রতিবেদন :
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির পক্ষ হতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিভিন্ন কর্মসূচিতে নিহত এবং আহতদের পক্ষে বিবৃতি প্রদান করা হয়। বিবৃতি প্রদান করার পর যে সমস্ত শিক্ষক বিবৃতি দেয়ার সাথে জড়িত তাদের ওপর হামলা চালানোর চেষ্টা করা হয়েছে। গত ৩০ তারিখ মঙ্গলবার দিবাগত রাতে তথা ৩১ তারিখ রাত দুইটার সময় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আবাসিক এলাকাতে এ ঘটনা ঘটে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিদ্যা বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সহকারী প্রক্টর ডক্টর মোহাম্মদ আলী হায়দারের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান যে, রাত দুইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ ক্যাম্পাসে ১৫ নম্বর বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটেছে। সেখানে বেশ কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয় এবং শিক্ষকদের সাথে অসৌজন্য মূলক আচরণ করা হয়। শিক্ষকদেরকে হুমকি দামকি প্রদর্শন করা হয়। কে বা কারা এ কাজ করেছে এ বিষয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। কারণ রাত দুইটায় তখন চারিদিকে অন্ধকার ছিল। তার বিশ্ববিদ্যালয় এর বর্তমা স্টুডেন্ট নাকি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চলে যাওয়া ছাত্র নাকি বহিরাগত এই বিষয়ে কোনভাবেই স্পষ্ট হওয়া যায়নি। ভূগোল ও পরিবেশ বিদ্যা বিভাগের আরেক শিক্ষক ডক্টর আতিকুর রহমানের সাথে মুঠোফোন এ যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান যখনই কোন ব্যক্তি ন্যায্য কথা বলার চেষ্টা করছেন তখনই তার টুটি চেপে ধরা হচ্ছে। তিনি ছাত্র কিংবা শিক্ষক যে পর্যায়ের লোকই হোন না কেন। তাদেরকে যেকোন ভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে। তিনি জানান ১৫ নম্বর বাড়িতে থাকেন দর্শন বিভাগের এক শিক্ষক এবং বায়ো কেমিস্ট্রি বিভাগের একজন শিক্ষক। তাদের সাথেই যারা এসেছিল তাদের কথা কাটাকাটি হয় এবং উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয় যাবার বেলায় তারা ঘটনাস্থলে বেশ কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে পুরো ক্যাম্পাসে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বিভিন্ন হাউস থেকে শিক্ষক শিক্ষিকারা বেরিয়ে আসলে তারা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। রাত হওয়ার কারণে তারা কারা এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি ।
Leave a Reply