বিশেষ প্রতিবেদন :
লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ’র প্রধান হাসান নাসরাল্লাহকে হত্যার পর গোষ্ঠীটির আরও এক নেতাকে হত্যার দাবি করেছে ইসরায়েল। একইসঙ্গে হিজবুল্লাহকে চাপে রাখতে রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) গোষ্ঠীটিটির একাধিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা আরও জোরদার করেছে সেনারা। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে।
হিজবুল্লাহর এক বিশিষ্ট নেতা নাবিল কাউককে হত্যার দাবিও করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। তবে এই নেতার মৃত্যু নিয়ে এখনও কোনও মন্তব্য করেনি হিজবুল্লাহ। এদিকে, কাউকের সমর্থকরা শনিবার থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার জন্য শোক বার্তা প্রকাশ করছে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, তাদের বিমান বাহিনী ‘লেবাননে হিজবুল্লাহ’র কয়েক ডজন লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে। এর মধ্যে ইসরায়েলি ভূখণ্ডের দিকে লক্ষ্য করা ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চার, অস্ত্রের গুদাম এবং হিজবুল্লাহ’র অতিরিক্ত সন্ত্রাসী অবকাঠামো রয়েছে।’
ইসরায়েলি নৌবাহিনী বলেছে, লোহিত সাগরের এলাকা থেকে ইসরায়েলের দিকে আসা একটি ক্ষেপণাস্ত্রকে প্রতিহত করেছে তারা। এসময় লেবানন থেকে আসা আরও আটটি ক্ষেপণাস্ত্র খোলা স্থানে পতিত হয়েছে।
শুক্রবার বৈরুতের দক্ষিণ শহরতলিতে হিজবুল্লাহর সদর দফতরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় গোষ্ঠীটির প্রধান নাসরাল্লাহকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। এই ঘটনা হিজবুল্লাহ ও ইরানের জন্য একটি বড় ধরনের ধাক্কা ছিল।
ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধ চালিয়ে যাবে হিজবুল্লাহ। এরইপ্রেক্ষিতে রবিবার সকালে থেকে সালভোসহ ইসরায়েলে একাধিক স্থানে রকেট নিক্ষেপ অব্যাহত রেখেছে তারা।
লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শনিবার ইসরায়েলি হামলায় ৩৩ জন নিহত হয়েছে। এর আগে, মন্ত্রণালয়টি জানায়, গত দুই সপ্তাহে ইসরায়েলি হামলায় দেশটিতে এক হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত এবং আরও ৬ হাজারেরও বেশি মানুষ আহত হন। তবে তাদের মধ্যে কতজন বেসামরিক এবং কতজন যোদ্ধা ছিল তা উল্লেখ করা হয়নি।
Leave a Reply