বিশেষ প্রতিবেদন:
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
এদিকে সংঘর্ষের ঘটনায় ২১ শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার হয়েছেন। সেইসঙ্গে ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করার কথা জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
দুইদিন আগে সংঘর্ষে আহত কুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি তাহমিদুল হক ইশরাক বাদী হয়ে মঙ্গলবার মামলাটি করেন বলে জানিয়েছেন খানজাহান আলী থানার ওসি মমতাজুল।
মামলায় কুয়েট ছাত্রলীগের সভাপতি রুদ্রনীল সিংহ শুভসহ ১২ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত পরিচয় ৪০-৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
অন্য আসামিরা হলেন- শুভানুদেব অংকন বড়াল, দীপ্রদাস কুণ্ডু, এন নাজমুস সাকিব, তানবীন হাসান, অভিজিত ভট্টাচার্য, ফুয়াদ, জয়বোস, সীমান্ত অদিত্য, এহসান মল্লিক আকাশ, রাকিব বিন মাহাবুব তালুকদার ও সুমিত দাস।
কুয়েটের লালন শাহ হলের প্রভোস্ট মো. আব্দুল হাফিজ মিয়া বলেন, রোববার রাতে বাইরে থাকা কিছু ছাত্র হলে উঠতে চাইলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের ঘটনায় ২১ ছাত্রকে হল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
বহিষ্কৃতরা হলেন- সাফায়েত সাইমুম, নিলান খালেক পারাবার, আব্দুল্লাহ ইবনে জয়নাল, শাহরিয়ার ফেরদৌস ওশান, শাহনেওয়াজ পারভেজ শুভ, তৈয়ব ইযাসির নিলয়, ফজলে রাব্বি, সাদিক বিন ফারুক, আবির হাসান, মো. আবু বক্কর সিদ্দিক, অমিত কুমার ঘোষ, অরিত্র দেবনাথ পৃথু, মেফতাউল মাহমুদ, সুদীপ্ত তালুকদার, জুনায়েত হক সরকার, জুবাইদুর হোসেন নাঈম, মো. সাব্বির হোসেন, মো. আদনান ইসলাম শামস, তাহমিদুল হক ইশরাক, মিনহাজুর রহমান আবরার ও মিজানুর রহমান মুহাসিন।
কুয়েটের ছাত্রবিষয়ক পরিচালক অধ্যাপক মো. আব্দুল মতিন বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় সোমবার কুয়েট কর্তৃপক্ষ ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক নুরুন্নবী মোল্লাকে সভাপতি করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।
কমিটির অন্যরা হলেন- অধ্যাপক মো. রফিকুজ্জামান, অধ্যাপক আশরাফুল ইসলাম, সহযোগী অধ্যাপক মো. ইকরামুল হক এবং সহকারী অধ্যাপক রঞ্জন কুমার রাহা।
তদন্ত কমিটিকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান ছাত্রবিষয়ক পরিচালক মতিন।
Leave a Reply