বিশেষ প্রতিবেদন :
কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচির মধ্যে গত ১৮ জুলাই জননিরাপত্তার আশঙ্কায় মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ করে তৎকালীন কর্তৃপক্ষ। পরদিন মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশনে ভাঙচুর করে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। এরপরই দীর্ঘ সময়ের জন্য অনিশ্চিত হয়ে যায় মেট্রোরেল চলাচল।
পরে ২৫ জুলাই তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেট্রোরেলের মিরপুর-১০ নম্বর স্টেশন পরিদর্শন শেষে বলেন, আজ মেট্রোরেল বন্ধ। কারণ, এই স্টেশনে যা যা নষ্ট হয়েছে সেটা সম্পূর্ণ ডিজিটাল ও ইলেকট্রনিক সিস্টেম, সম্পূর্ণ মডার্ন। এটা কতদিনে ঠিক হবে আমি জানি না।
এর ঠিক দুদিন পরে ২৭ জুলাই বনানীতে ক্ষতিগ্রস্ত সেতু ভবন পরিদর্শন শেষে তৎকালীন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, মেট্রোরেলের কাজীপাড়া ও মিরপুর-১০ স্টেশন ধ্বংসপ্রাপ্ত। এটা এক বছরেও যন্ত্রপাতি এনে সচল করা সম্ভব হবে না বলে এক্সপার্টরা জানিয়েছেন।
সেই সময়ের সরকার প্রধান ও সড়ক মন্ত্রীর এমন বক্তব্যের পর দ্রুত মেট্রোরেল চালু হবে— এমন আশা ফিকে হয়ে যায় মেট্রোরেল ব্যবহারকারী ও দেশবাসীর কাছে। এরপর কাটে অপেক্ষার পালা।
ছাত্রজনতার গণঅভ্যুথানের মুখে গত ৫ আগস্ট দুপুরে পালিয়ে যান তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর তিনদিন পর ৮ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শপথ গ্রহণ করে। এরপর থেকেই সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় রয়েছে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আওতায়। গত ১১ আগস্ট সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী মেট্রোরেলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত চান প্রধান উপদেষ্টার কাছে। ওই রাতে মেট্রোরেল পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন সিদ্দিক জানান, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে মেট্রোরেল চালু করার প্রস্তুতি সম্পন্ন হবে। তবে, ভাঙচুরে ক্ষতিগ্রস্ত কাজীপাড়া ও মিরপুর-১০ স্টেশন বন্ধ থাকবে
Leave a Reply