বিশেষ প্রতিবেদন :
কোম্পানিটির শেয়ারের গতি উল্টোদিকে মোড় নেয়। শেয়ারের দর হারাতে থাকে কোম্পানিটি। বর্তমানে এটি ফ্লোরপ্রাইস ১১৫ টাকা ৬০ পয়সায় আটকে আছে। লেনদেন হয় না বললেই চলে। আজ সোমবার (২৮ অক্টোবর) ডিএসইতে বেক্সিমকোর মাত্র ১টি শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) থেকে প্রাপ্ত পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০১৯ সালে বেক্সিমকোর ইপিএস ছিল মাত্র ১ টাকা ৬৩ পয়সা। পরের বছর তা কমে ৫১ পয়সায় নেমে আসে। এই দুই বছরে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের জন্য মাত্র ৫ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করে। কিন্তু ২০২১ সালে কোম্পানিটির মুনাফা ও লভ্যাংশে নাটকীয় উত্থান ঘটে। এ বছর ইপিএস এক হাজার ৩৭৬ শতাংশ বেড়ে ৭ টাকা ৫৩ পয়সা হয়। এ বছরের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয় ৩৫ শতাংশ। এ বছরই কোম্পানিটি সুকুক ইস্যুর ঘোষণা দেয়। পরের বছর কোম্পানির ইপিএস আরও বেড়ে ১৪ টাকা ৩২ পয়সা হয়। তবে কমে যায় লভ্যাংশের হার। ইপিএস বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হলেও লভ্যাংশের হার কমিয়ে ৩০ শতাংশ করা হয়। ততদিনে কোম্পানিটির সুকুক ইস্যু করে বাজার থেকে টাকা তোলা শেষ। ২০২৩ সালে ইপিএস কমে ৭ টাকা ৯৫ হয়। এ বছর লভ্যাংশের হার কমিয়ে ১০ শতাংশ করা হয়।
সর্বশেষ ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির ইপিএস আরও কমে ৮৯ পয়সায় নেমে আসে। এদিকে সরকার পরিবর্তনের পর থেকে একাধিক হত্যা মামলার আসামী হিসেবে বেক্সিমকোর কর্ণধার সালমান এফ রহমান কারাগারে আছেন। এমনিতে কোম্পানিটির মুনাফার নিম্নমুখী ধারা, তারউপর রাজনৈতিক পরিবর্তন ও কোম্পানির কর্ণধারের জেলে থাকার কারণে লভ্যাংশের হার আগের বছরের চেয়েও কমে যেতে পারে বলে আশংকা করছেন বিনিয়োগকারীরা।
ফ্লোরপ্রাইসের কারণে বাজারে বেক্সিমকোর শেয়ারের স্বাভাবিক লেনদেন না হওয়ায় বিনিয়োগকারীদের বিপুল পুঁজি আটকে আছে। বড় মূলধনের এই কোম্পানিটির দর পরিবর্তন সূচকে অনেক প্রভাব ফেলে বলে ভয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না। এর মধ্যে কোম্পানিটির মুনাফা ও লভ্যাংশে নেতিবাচক কিছু হলে ফ্লোরপ্রাইস তুলে নেওয়ার ঝুঁকি আরও বাড়বে। সে ক্ষেত্রে ফ্লোরপ্রাইস প্রত্যাহারের পর শেয়ারে বড় দর পতনের আশংকা থাকবে। অন্যদিকে ফ্লোরপ্রাইস প্রত্যাহার করা না হলে বিনিয়োগকারীরা তাদের বিনিয়োগ নিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য ঝুলে থাকবে।
Leave a Reply