1. abdullahharun2014@gmail.com : dailysarabela24 :
শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৫৯ পূর্বাহ্ন
নোটিশ :
দৈনিক সারাবেলা ২৪ , সত্য সংবাদ প্রকাশে আপোষহীন visit . www.dailysarabela24.com অনলাইন ভিত্তিক নিউজ পোর্টাল সংবাদ পড়ুন ও মন্তব্য করুন, আপনার প্রতিষ্ঠানের এড দিন , সংবাদ প্রকাশের জন্য যোগাযোগ করুন - ০১৯৭১-৮৪১৬৪২,০১৩২২-১৭৫০৫২
সংবাদ শিরোনাম:
খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ‘ক্যাশিয়ার’ মোশাররফ গ্রেফতার আইজিপি কাপ ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশীপ ২০২৪-২৫ এর শুভ উদ্বোধন মোটরসাইকেল ও দেশীয় অস্ত্রসহ পেশাদার ছিনতাইকারী শাকিলকে গ্রেফতার করেছে মিরপুর মডেল থানা পুলিশ ভাটারায় প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ভীতি প্রদর্শনের ঘটনায় এক যুবককে গ্রেফতার করেছে ডিবি মানবেন্দ্র ঘোষের বাড়িতে আগুন: জড়িতদের তিনদিনের মধ্যে গ্রেফতার করার দাবিতে মানববন্ধন গ্রামীণ ব্যাংকে সরকারের মালিকানা কমলো বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ২৫১টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকদের বুঝিয়ে দিলো ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে মিয়ানমারে প্রেরিত উদ্ধার ও চিকিৎসা সহায়তা দলকে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের সংবর্ধনা প্রদান আনন্দ শোভাযাত্রার মোটিভ নির্মাণকারী শিল্পীর বাড়িতে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা সৌদি আরবের জন্য খুলছে ইউরোপের দ্বার

পাকিস্তানের সঙ্গে কী ধরনের বাণিজ্য হচ্ছে

  • আপডেটের সময় : সোমবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২৪
  • ৩৫ বার ভিউ

বিশেষ প্রতিবেদন :
পাকিস্তানের করাচি থেকে কন্টেইনার বহনকারী জাহাজ সরাসরি বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরে আসার পর সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে চলছে তুমুল আলোচনা । বলা হচ্ছে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর এবারই প্রথমবারের মতো সরাসরি জাহাজ করাচি থেকে চট্টগ্রাম আসলো। তবে কাস্টমস কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পাকিস্তান থেকে প্রতি সপ্তাহে কনটেইনার ভর্তি পণ্য চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। এমন প্রেক্ষাপটেই অনেকে আলোচনা করছেন, পাকিস্তানের সঙ্গে আসলে কী ধরনের বাণিজ্য হচ্ছে।

করাচি থেকে বাংলাদেশে সরাসরি আসা যে জাহাজ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে সেই জাহাজে বাংলাদেশে এসেছে ‘ফেব্রিকস, চুনাপাথর, সোডা অ্যাশ, পেঁয়াজ, ম্যাগনেসিয়াম কার্বোনেট ও ডলোমাইট’, যার বেশিরভাগই টেক্সটাইল শিল্পের কাঁচামাল।

পাকিস্তান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে দেয়া তথ্য অনুযায়ী ২০২৩ সালে পাকিস্তান বাংলাদেশে প্রায় ৬৫ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে। এর মধ্যে রপ্তানিমুখী শিল্পের কাঁচামাল সুতা-কাপড় ও প্রস্তুত চামড়া ছিল প্রায় ৭৯ শতাংশ।
বিপরীতে বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তানে যে পরিমাণ পণ্য রপ্তানি হয়েছে, তার মূল্য ছিলো ৬ কোটি ডলারের সামান্য বেশি। মূলত কাঁচা পাট, ওষুধ, হাইড্রোজেন পার অক্সাইড, চা ও তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছিলো বাংলাদেশ।

এর আগে ২০২২ সালে বাংলাদেশ ৭৪ মিলিয়ন ডলারের রপ্তানি করলেও পাকিস্তান থেকে আমদানি করেছে ৮৪০ মিলিয়ন ডলারের পণ্য। অর্থাৎ বাংলাদেশ থেকে যে পরিমাণ পণ্য পাকিস্তানের রপ্তানি হয়, তার দশগুণ বেশি পাকিস্তান বাংলাদেশে রপ্তানি করে।

পাকিস্তান থেকে গত বছর সবচেয়ে বেশি আমদানি হয়েছে তুলা। এছাড়া আরও যেসব পণ্য আসে বাংলাদেশে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে আসে সিমেন্টের কাঁচামাল।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তানে রপ্তানি হয় এমন যেসব পণ্যের নাম দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে আছে-পাট ও অন্য টেক্সটাইল ফেব্রিকস, হাইড্রোজেন পার অক্সাইড, পেপার ও পেপারবোর্ড লেবেল, ছেলেদের শার্ট, মেডিক্যাল সার্জিক্যাল ও ডেন্টাল ইকুইপমেন্টসহ আরও কয়েকটি পণ্য।

বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক বৃদ্ধির বিষয়টি নতুন করে আলোচনা এসেছে। গবেষক ও আমদানি-রপ্তানির সাথে জড়িতরা অনেকে মনে করছে, ভৌগলিক দূরত্বের চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য আরও বাড়ানো ও সহজ করার সুযোগ আছে।

তারা বলছেন, সরাসরি জাহাজ ও বিমান চলাচল চালুর পাশাপাশি দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি, উভয় দেশের মান নিয়ন্ত্রক সংস্থার মধ্যে সার্টিফিকেট গ্রহণ এবং বাণিজ্য সম্পর্কিত পারস্পারিক বিনিয়োগ বাড়ানোর মাধ্যমে বাণিজ্য কয়েকগুণ বাড়ানো যাবে, যাতে উভয় দেশ সমভাবে লাভবান হতে পারে।
যদিও বহুদিন ধরেই দুই দেশের মধ্য আমদানি-রপ্তানি রয়েছে, কিন্তু বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই বাণিজ্য আরও বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে।

বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম বলেছেন, বাংলাদেশ থেকে কৃষিপণ্য, গার্মেন্ট, মেডিসিন, লেদার – এসব ক্ষেত্রে পাকিস্তানে রপ্তানি বাড়ানোর সম্ভাবনা বেশি। অন্যদিকে পাকিস্তানের সিলিং ফ্যান, ফ্রুটস, জুস, মেয়েদের ড্রেস বাংলাদেশে জনপ্রিয়। কস্ট বেনিফিট পর্যালোচনা করে আমদানি-রপ্তানির পণ্য ঠিক হলে উভয় দেশই তাতে লাভবান হবে।

গবেষক ও অর্থনীতিবিদ ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলছেন, উভয় দেশের মধ্যে কোন ধরনের পণ্যের কেমন চাহিদা, সেগুলো বিশ্লেষণ করতে হবে। পাকিস্তান থেকে কটন বা টেক্সটাইল কাঁচামাল সম্ভাব্য পণ্য হতে পারে, যা মূলত ভারত ও চীন থেকেই বেশি আসে। আবার পাকিস্তানের লাইট ইনজিনিয়ারিং পণ্যের ভালো সম্ভাবনা আছে বাংলাদেশে।

শিপিং এজেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি সৈয়দ আরিফ আহমেদ বলছেন, এক সময় বাংলাদেশি পাট ও পাটজাত দ্রব্যের প্রচুর চাহিদা ছিলো পাকিস্তানে। সেটি এখন তেমন না থাকলেও বিভিন্ন শিল্পের কাঁচামাল আসছে। আমাদেরও গার্মেন্টস সহ বিভিন্ন পণ্য অল্প হলেও যাচ্ছে।

ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলছেন, উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্ভাবনা খতিয়ে দেখার জন্য একটি যৌথ কারিগরি দল গঠন করা যেতে পারে এবং এর মাধ্যমে বিনিয়োগভিত্তিক বাণিজ্য সম্পর্ক তৈরির সুযোগ তৈরি হতে পারে।

তথ্য সূত্র : বিবিসি বাংলা

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে ভাগ করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ©2024 ওয়েবসাইট এর কোনো লেখা, ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি
Desing & Developed BY ThemeNeed.com