বিশেষ প্রতিবেদন :
আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ) বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে ইরান তাদের পরমাণু কার্যকর জোরদার করছে। এমন অভিযোগ এনে সংস্থাটির ৩৫টি দেশের গভর্নর বোর্ড ইরানের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার জাতিসংঘে একটি নিন্দা প্রস্তাব গ্রহণ করে। যার নেতৃত্ব ছিলো ইউরোপের তিন দেশ ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাজ্য। এবার এই তিন দেশের সঙ্গেই বৈঠকে বসতে চায় ইরান।
রোববার ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমায়েল বাঘাই জানিয়েছেন, ‘শুক্রবার ইরান, ফ্রান্স, জার্মানি এবং যুক্তরাজ্যের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সাথে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।’ যদিও কোথায় এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে সেটি পরিষ্কার জানাননি তিনি।
পরে এক বিবৃতিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, ‘বৈঠকে ফিলিস্তিন ও লেবাননের পাশাপাশি পারমাণবিক বিষয়সহ বিভিন্ন আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সমস্যা নিয়ে আলোচনা করা হবে।’ বাঘাইয়ের এই বৈঠকটিকে সবশেষ জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বার্ষিক অধিবেশনের পার্শ্ব বৈঠকে দেশগুলোর সঙ্গে অনুষ্ঠিত আলোচনার ধারাবাহিকতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
তবে ইরানের এই পদক্ষেপটি এমন সময় নেওয়া হয়েছে যখন তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সমালোচকদের আশংকা কর্মসূচিটির লক্ষ্য পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি। কিন্তু, তেহরান তা বারবার অস্বীকার করেছে। তাছাড়া সম্প্রতি আইএইএ প্রধান রাফায়েল গ্রোসি সম্প্রতি তেহরান সফর করে এসেছেন। যে কারণে ধারণা করা হচ্ছে সফরে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে।
গ্রোসির সফরের সময় ইরান অস্ত্র উৎপাদনের জন্য নির্ধারিত মানের ৬০ শতাংশ পর্যন্ত বিশুদ্ধতা সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের সংবেদনশীল মজুদ সীমাবদ্ধ করার জন্য আইএইএ-এর দাবিতে সম্মত হয়েছে। প্রস্তাবের প্রতি প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ইরান ঘোষণা করেছে তারা এক রাশ ‘নতুন এবং উন্নত সেন্ট্রিফিউজ’ চালু করছে। সেন্ট্রিফিউজগুলি গ্যাসে রূপান্তরিত ইউরেনিয়ামকে অত্যন্ত উচ্চ গতিতে ঘুরিয়ে তার মধ্যে ফিসাইল আইসোটোপ (ইউ-২৩৫)-এর পরিমাণ বৃদ্ধি করে।
ইরানের পারমাণবিক শক্তি সংস্থার মুখপাত্র বেহরুজ কামালভান্দি রাষ্ট্রীয় মাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন ধরনের উন্নত মেশিন ব্যবহার করে সমৃদ্ধকরণের ক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করব।’ সেই সঙ্গে ইরান বলেছে, তারা আইএইএ-এর সাথে তাদের ‘প্রযুক্তিগত এবং নিরাপত্তা সহযোগিতা’ চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে।
Leave a Reply