বিশেষ সংবাদ:
মধ্যরাতে সংঘর্ষে জড়িয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ছাত্রলীগের দুপক্ষ। সোমবার (২৯ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১২টা থেকে সোয়া ১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ আমানত ও সোহরাওয়ার্দী হলের সামনে দুপক্ষের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া চলে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের তিনজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
সংঘর্ষে জড়ানো গ্রুপ দুটি হল, চুজ ফ্রেন্ডস উইথ কেয়ার (সিএফসি) এবং ভার্সিটি এক্সপ্রেস (ভিএক্স)। এর মধ্যে সিএফসি শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এবং অপরটি চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী বলে জানা গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভিএক্স গ্রুপের কর্মী আলমাসকে একা পেয়ে মারধর করে সিএফসির নেতাকর্মীরা। পরে শাহ আমানত হলের সামনে সিএফসি এবং সোহরাওয়ার্দী হলের সামনে ভিএক্সের নেতাকর্মীরা অবস্থান নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। এ সময়ে উভয় পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে তিনজন আহত হয়।
ভিএক্সের নেতা এবং বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি প্রদীপ চক্রবর্তী দুর্জয় বলেন, ‘চারুকলার ২০২০-২০২১ সেশনের দুটি ছেলের মধ্যে ঝামেলা ছিল। সেটার সূত্র ধরে সিএফসির ছেলেটা আমাদের কর্মীকে চড়-থাপ্পড় মারে। এটা থেকেই ঝামেলার সূত্রপাত হয়েছে।’
সিএফসির নেতা এবং বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সাদাফ খান বলেন, ‘বন্ধুদের মধ্যে কথাকাটাকাটি থেকে হাতাহাতি হয়েছে, সেটা থেকেই ঝামেলা। ঝামেলা যাতে আর না বাড়ে সেজন্য আমরা সিনিয়ররা কথা বলে বিষয়টা সমাধান করেছি।’
এ প্রসঙ্গে সহকারী প্রক্টর অরূপ বড়ুয়া বলেন, ‘সিএফসি ও ভিএক্সের জুনিয়র কর্মীদের মধ্যে মারধরকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আমরা যথাসময়ে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছি।’
ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে ।
Leave a Reply