নিজস্ব প্রতিবেদক:
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্তের শূন্য রেখায় গোলাগুলির ঘটনায় পাঁচটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও একটি মাদ্রাসা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
নিরাপত্তার কারণে রোববার ৪ ফেব্রুয়ারি জরুরি ভিত্তিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধের ঘোষণা দেয় প্রশাসন।
বন্ধ ঘোষণা করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো হলো- দক্ষিণ ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভাজাবনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তুমব্রু পশ্চিমকুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাইশারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং দক্ষিণ ঘুমধুম মিশকাতুল নবী দাখিল মাদ্রাসা।
এর আগে, তমব্রু এলাকাবাসীরা শনিবার রাত থেকেই মিয়ানমারের সীমান্ত এলাকায় প্রচণ্ড গোলাগুলির শব্দ শুনতে পান। অনেকেই প্রাণ ভয়ে বাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যান। এরই মধ্যে সকালে মিয়ানমার সীমান্ত এলাকা থেকে ছোঁড়া গুলিতে তমব্রু এলাকায় একজন বাংলাদেশি গুলিবিদ্ধ হন। রাত ৮ টা পর্যন্ত ৬৬ জন বিজিপি সদস্য তমব্রু এলাকায় প্রবেশ করে বিজিবির আশ্রয় চায়। এরপরই তাদেরকে বিজিবির তমব্রু ক্যাম্পে নিরাপদ হেফাজতে নেয় বিজিবি। তাদের মধ্যে ২০ জন ছিল আহত। ৬ জনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে । হামলাকারী বিদ্রহী র মধ্যে রয়েছে আরাকান আর্মি ও আরসা ।
এদিকে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড বিজিবি সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়িয়েছে। নিরাপত্তা চৌকিগুলোতে সদস্য সংখ্যা বাড়িয়ে টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে। সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে বিজিবি।
বাংলাদেশ পুলিশ সদস্যরাও সিমান্তে অবস্থান নিতে প্রস্তুতি গ্রহন করছে ।
Leave a Reply