বিশেষ প্রতিবেদন :
আওয়ামী পরিবারের সন্তান না হওয়ায় পরীক্ষায় টিকেও রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে চাকরি হয়নি ৪৪ জন ইঞ্জিনিয়ার ও টেকনিশিয়ানের। গোয়েন্দা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তাদের চাকরি হয়নি বলে জানিয়েছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বৈষম্যের শিকার চাকরি প্রার্থী পরিষদ।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কমপ্লেক্সে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প ও নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের কার্যালয় ঘেরাও এবং অবস্থান কর্মসূচিতে এ কথা বলেন বঞ্চিতরা। একইসঙ্গে নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দেওয়ার কথাও জানান তারা।
অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, আমরা অন্তত অর্ধশতাধিক ইঞ্জিনিয়ার, টেকনিশিয়ান, কেমিস্ট ও ল্যাব টেকনিশিয়ান বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে নিয়োগের জন্য সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছিলাম। কিন্তু চাকরির সব শর্ত পূরণের পর এনএসআইয়ের মাধ্যমে সেই সময় আমাদের বিষয়ে তদন্ত করানো হয়। সেই তদন্ত কর্মকর্তারা আমাদের স্ব স্ব এলাকার আওয়ামী লীগ নেতাদের কাছ থেকে খোঁজ নিয়ে আমাদের বিষয়ে প্রতিবেদন দিয়েছে। এতে কোনো রাষ্ট্রদ্রোহী বা অসামাজিক কার্যকলাপের ন্যূনতম সম্পৃক্ততা না পেলেও শুধু বিএনপি-জামায়াতপন্থি পরিবারে জন্ম নেওয়ার অপরাধে সম্পূর্ণ নিয়ম অমান্য করে আমাদেরকে নিয়োগ আটকে দেওয়া হয়। তার বিপরীতে নতুন করে বেছে বেছে আওয়ামীপন্থি পরিবারের সন্তান এবং ছাত্রলীগ কর্মীদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এতে দেশের স্বনামধন্য বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়ে আসার পরও আমরা চরমভাবে বৈষম্যের শিকার হয়েছি।
কর্মসূচিতে আরও জানানো হয়, গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে আমরা প্রত্যেকে বিষয়টি অবগত করে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প, নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে আবেদন দিয়েছি। কিন্তু বার বার সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করা হলেও গত ৫ মাসে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ। শিগগিরই আমাদের নিয়োগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত না এলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।
Leave a Reply