বিশেষ সংবাদ:
গ্রাম আদালতে বিদ্যমান জরিমানার পরিমাণ ৭৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে চারগুণ (প্রায় তিন লাখ টাকা) নির্ধারণ করতে যাচ্ছে সরকার।
রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকে গ্রাম আদালত সংশোধন আইনের খসড়ার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, গত বছর এই আইনের খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। কিন্তু এটি সংসদে উপস্থাপন না হওয়ায় এবং নতুন মন্ত্রিসভা গঠিত হওয়ায় নতুন মন্ত্রিসভা থেকে অনুমোদন নেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। মন্ত্রিসভা এটিকে চূড়ান্ত অনুমোদন করে দিয়েছে।
তিনি বলেন, গ্রাম আদালতের আর্থিক ক্ষমতা (জরিমানা করার ক্ষমতা) ৭৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে তিন লাখ টাকা করা হচ্ছে।
ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ পাঁচজনের সমন্বয়ে গ্রাম আদালত হয় জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, কোনো সময় একজন অনুপস্থিত থাকলে আদালতের সদস্য সংখ্যা চারজন হয়ে যায়। এমন পরিস্থিতি হলে অনুপস্থিত যিনি ছিলেন তাকে উপস্থিত হতে সাত দিন সময় দেওয়া হবে। এর মধ্যে তিনি উপস্থিত না হলে তখন ভোটাভুটিতে চেয়ারম্যানের ক্ষমতা রাখা হয়েছে। মামলার এক পক্ষ মারা গেলে মামলার ভবিষ্যৎ নিয়ে জটিলতা দেখা দেয়। এখন বলা হয়েছে, রায়ের আগে কোনো পক্ষের মৃত্যু হলে তার উত্তরাধিকারকে পক্ষ করা যাবে।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে গ্রাম আদালত আইন সংশোধন করে জরিমানা করার ক্ষমতা ২৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৭৫ হাজার টাকা করেছিল সরকার। চেয়ারম্যানদের দাবির প্রেক্ষিতে ফের জরিমানার পরিমাণ বাড়াতে যাচ্ছে সরকার।
বাংলাদেশে বিচারব্যবস্থার সর্বনিম্ন স্তর হচ্ছে গ্রাম আদালত। গ্রামাঞ্চলের কিছু কিছু মামলার নিষ্পত্তি এবং তৎসর্ম্পকীয় বিষয়াবলীর বিচার সহজলভ্য করার উদ্দেশে গ্রাম আদালত অধ্যাদেশ, ১৯৭৬-এর আওয়তায় গঠিত একটি স্থানীয় মীমাংসামূলক তথা সালিশি আদালতই হলো গ্রাম আদালত।
Leave a Reply