সরেজমিন প্রতিবেদন:
পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দ্বিতীয় দফায় আবারো লাঠিসোঁটা, রামদাসহ ধারালো অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শাখা ছাত্রলীগের দুই পক্ষের নেতা-কর্মীরা। চার ঘণ্টা ধরে চলা সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত পুলিশসহ ১৩ জন ছাত্রলীগ কর্মী আহত হয়েছেন।
সংঘর্ষে লিপ্ত ছাত্রলীগের দুই উপগ্রুপ হলো সিএফসি আর সিক্সটি নাইন। বৃহস্পতিবার রাতের ঘটনায় সকাল থেকেই ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছিলো। শুক্রবার জুমার পরে উভয় দলের মধ্যে ইট পাটকেল নিক্ষেপ শুরু হলে সংঘর্ষ বাধে। দুই ঘণ্টা সংঘর্ষের পরে পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল বডির সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এ সময় উভয় গ্রুপ কে হলে প্রবেশ ঢোকানো হয়।
সাধারণ শিক্ষার্থীরা জানান, শুক্রবার বিকেল পাঁচটার দিকে দু’গ্রুপের কর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহজালাল হল ও শাহ আমানত হলের সামনে অবস্থান নেয়। সেখানে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে দেশীয় ধারালো অস্ত্র, ইট পাটকেল, রড, হাতুড়ি নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এতে পুলিশসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। পরে দু’পক্ষকে সরিয়ে দুই হলের মাঝখানে অবস্থান নেয় পুলিশ।
এর আগে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার দুপুরে এবং রাতে দুই দফায় সংঘর্ষে জড়ায় পক্ষ দুটি। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২৭ জন আহত হন। এছাড়া ১৪ ফেব্রুয়ারি রাতে সিক্সটি নাইন এবং বিজয় গ্রুপের অনুসারীরা সংঘর্ষে জড়ায়। প্রক্টর ড. মোহাম্মদ নূরুল আজিম সিকদার বলেন, আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি। পুলিশকে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করতে বলা হয়েছে। তবে এতে রাজি হয়নি পুলিশ।
এ সব ঘটনার পেছনে রয়েছে ভিন্ন গল্প । আর কিছু দিন পর শুরু হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা, যে সকল গ্রুপ বেশি শক্তি দেখাতে পরবে তারা নবাগতদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারবে এবং বিশ্ববিদ্যালয় এর বিভিন্ন ঠিকাদার থেকে মোটা অংকের ডোনেশন নিতে পারবে। এছাড়া ও যে সকল গ্রুপ বেশি শক্তি দেখাতে পরবে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ কমিটিতে বেশি পদ আদায় করে নিতে পারবে ।
তাদের এ রকম আচরণে দিশেহারা সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা । তারা চায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ যেন সুন্দর থাকে।
Leave a Reply