বিশেষ সংবাদ:
আজ মঙ্গলবার দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. তাজুল ইসলাম সোহাগের আদালতে জামিন আবেদন করা হলে শুনানি শেষে তার জামিন মঞ্জুর করা হয়।
এর আগে রোববার রাতে শামীম আশরাফকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং গতকাল আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গতকাল সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত শামীমের বিরুদ্ধে কেউ মামলা করেনি। শামীমকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
শামীমের বিরুদ্ধে অভিযোগ, পোস্টার ডিজাইনের মাধ্যমে তিনি ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন এবং করপোরেশনের মেয়র একরামুল হক টিটুর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়েছেন।
তবে ডেইলি স্টারের সঙ্গে আলাপকালে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন জানান, শামীমের পোস্টারে নগরীর সমস্যা, বিশেষ করে তীব্র যানজট ও জলাবদ্ধতার চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
কবি শামীম আশরাফের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ও তার অবিলম্বে মুক্তির দাবিতে আজ সকালে নগরীর জিরো পয়েন্ট এলাকায় মানববন্ধন করেন সংস্কৃতিকর্মীরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শামীমকে আটকের আগে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি শামীমের প্রতিষ্ঠানে গিয়েছিলেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. আল আমিন গতকাল ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘একাধিক পোস্টার তৈরি করে মেয়রের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ছড়ানো হচ্ছিল। পোস্টারটি শামীম তৈরি করেছিলেন জানতে পেরে গতকাল রাত সাড়ে ৯টার দিকে তার প্রতিষ্ঠানে গিয়েছিলাম। তাকে শুধু জিজ্ঞাসা করেছিলাম যে কেন তিনি এমন কাজ করলেন।’
তার দাবি, ‘শামীম এসব পোস্টার ডিজাইন করার কথা স্বীকার করেছেন। নগরবাসীর যেকোনো সমস্যা, অনিয়ম ও ভোগান্তির বিষয়ে সমালোচনা করার অধিকার যে কারো আছে। কিন্তু তিনি কারো নাম উল্লেখ না করে ওই পোস্টার করেছেন, যা সম্পূর্ণ অন্যায়।’
আল আমিন বলেন, ‘আমাদের কথাবার্তার সময় মেয়র একরামুল হক টিটুর বড় ভাই আমিনুল হক শামীমও সেখানে এসে শামীম আশরাফের সঙ্গে কথা বলে চলে যান।’
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে মেয়র একরামুল হক টিটু বলেন, সম্প্রতি সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসন ও পুলিশকে সিটি করপোরেশনের লোগো ব্যবহার করে এবং প্রিন্টিং প্রেসের ঠিকানা উল্লেখ না করে সিটি করপোরেশন ও এর মেয়রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার উদ্দেশ্যে পোস্টার প্রকাশের বিষয়ে তদন্ত করতে বলেছে। পরে পুলিশ তদন্ত শুরু করে শামীমকে আটক করে। পোস্টারগুলো নাগরিকদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব তৈরি করেছে।
নগরবাসী ব্যালটের মাধ্যমে এসব অপপ্রচারের জবাব দেবেন বলে আশা প্রকাশ করেন মেয়র।
Leave a Reply