বিশেষ সংবাদ:
মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াইয়ে দেশটির জান্তা বাহিনীর সেনারা রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শান রাজ্যের পা-ও গ্রামে রাসায়নিক বোমা ফেলা হচ্ছে বলে দাবি করেছে অঞ্চলটির সশস্ত্র বিদ্র্রোহী গোষ্ঠী পিএনএলএ। কাচিন রাজ্যেও জান্তা বাহিনী ও প্রতিরোধ যোদ্ধাদের মধ্যে সংঘাত বেড়েছে। কিছু বোমা সীমান্ত পেরিয়ে চীনের ভূখণ্ডে আঘাত হেনেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।
মিয়ানমারের বিভিন্ন রাজ্যে সশস্ত্র বিদ্রোহীদের সঙ্গে জান্তা বাহিনীর তীব্র লড়াই চলছে। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে দেশটির সেনাবাহিনীর। এরই মধ্যে অনেক এলাকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে তারা। হারানো এলাকা আবার নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার চেষ্টা করছে মিয়ানমার সেনারা।
উত্তরাঞ্চলের শান রাজ্যের হসি হোসেং টাউনশিপে গত সোমবার থেকে জান্তা বাহিনী ও সশস্ত্র বিদ্র্রোহী গোষ্ঠী পা–ও ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মির মধ্যে তীব্র লড়াই শুরু হয়েছে। জানুয়ারির সংঘাতে পিএনএলএ যোদ্ধাদের কাছে এলাকাটির নিয়ন্ত্রণ হারায় জান্তা বাহিনী। অঞ্চলটি পুনরুদ্ধারে হামলা চালাচ্ছে তারা।
সংবাদমাধ্যম ইরাবতী বলছে, বৃহস্পতিবার ড্রোন ব্যবহার করে পা–ও শহরে রাসায়নিক বোমা ফেলেছে বলে দাবি করেছে পিএনএলএ। এতে সেখানে অক্সিজেন কমে গেছে এবং যোদ্ধাদের ক্লান্তি, মাথা ঘোরা, দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাস হচ্ছে বলে জানায় তারা। এ ছাড়া শহরটিতে জান্তার ঘাঁটিগুলো থেকে আশপাশের এলাকায় গোলা ছোঁড়া হচ্ছে।
সামরিক বিমানের মাধ্যমে জান্তা বাহিনী চিন রাজ্যের পালেতওয়া টাউনশিপেও রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করেছে বলে অভিযোগ করেছে বিদ্রোহী আরাকান আর্মি।
সংঘাত বেড়েছে চীন সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের কাচিন রাজ্যেও। প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সঙ্গে লড়াইয়ে সেখানকার ২টি সেনা ঘাঁটি ও ১০টির বেশি চৌকির নিয়ন্ত্রণ হারানোর পর কাচিন আর্মির সদর দপ্তর লক্ষ্য করে বোমাবর্ষণ করেছে জান্তা বাহিনী। শুক্রবার বোমা সীমান্ত পেরিয়ে চীনে আঘাত হেনেছে বলে জানায় মিয়ানমার ও চীনের স্থানীয়রা।
এদিকে ২০২১ সালের সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে এ পর্যন্ত মিয়ানমারে ২০৬ সাংবাদিককে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইসিএনএল।
Leave a Reply