বিশেষ সংবাদ:
আফগানিস্তানের কান্দাহার প্রদেশে আত্মঘাতী বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ হামলায় ২১ জন নিহত ও ৫০ জন আহত হয়েছে।
২১ মার্চ, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় কান্দাহার শহরের নিউ কাবুল ব্যাংক শাখার বাইরে ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। অপেক্ষায় থাকা কিছু মানুষকে লক্ষ্য করেই বোমা হামলাটি করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, নাম প্রকাশ না করার শর্তে হাসপাতালের একজন চিকিৎসক জানিয়েছেন, ২১ জন নিহত ও প্রায় ৫০ জন আহত ব্যক্তিকে এই অঞ্চলের সবচেয়ে বড় মিরওয়াইস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এদিকে তালেবান সরকার নিহতের সংখ্যা তিনজন বলে জানিয়েছে। এ ঘটনায় আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। স্থানীয় সময় সকাল ৮টার দিকে শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত একটি ব্যাংকে আত্মঘাতী হামলা চালানো হয়। ওই সময় দেশটির সরকারি চাকরিজীবীরা লাইনে দাঁড়িয়ে বেতন সংগ্রহ করছিলেন।
কান্দাহার প্রদেশের তথ্য ও সংস্কৃতির পরিচালক ইনামুল্লাহ সামাঙ্গানি জানিয়েছেন, প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী জানা গেছে, কান্দাহারে একটি আত্মঘাতী বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে। সেই ঘটনায় তিন জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১২ জন।
সামাঙ্গানি বলেন, আহতদের শহরের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাছাড়া সব পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। শঙ্কার কোনও কারণ নেই।
তালেবান কর্মকর্তারা আংশিকভাবে নিশ্চিত করে জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত কেউ দায় স্বীকার করেননি। ১১ মার্চে পবিত্র মাহে রমজান শুরু হওয়ার পর থেকে দেশব্যাপী একাধিক বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে।
তবে তালেবান ক্ষমতায় আসার পর আফগানিস্তানে বোমা বিস্ফোরণ ও আত্মঘাতী হামলার সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। যাইহোক, তবুও বেশ কয়েকটি সশস্ত্র গোষ্ঠী হুমকি রয়েছে।
কাবুল আফগানিস্তানের রাজধানী হলেও কান্দাহার হলো তালেবানদের ক্ষমতার কেন্দ্রস্থল, তাদের সর্বোচ্চ কমান্ডারের ঘাঁটি। সেখানেই বাস করেন তালেবান নেতা হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা। ২০২১ সালের আগস্টে মার্কিন-সমর্থিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে তালেবান সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ পাওয়ার পর থেকে আফগানিস্তানের সামগ্রিক নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও, প্রতি বছর দেশটিতে কয়েক ডজন বোমা হামলা এবং আত্মঘাতী হামলা অব্যাহত রয়েছে।
তাদের মধ্যে অনেকেই আফগানিস্তানের হাজারা জাতিগত সংখ্যালঘুদের লক্ষ্যবস্তু করেছে এবং ইসলামিক স্টেট খোরাসান প্রদেশ, বা আইএসকেপি, তথাকথিত ইসলামিক স্টেট গ্রুপের আঞ্চলিক সহযোগী, তালেবানের একটি প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দাবি করেছে।
বিবিসি মনে করছে, এটি এ বছর আফগানিস্তানে সবচেয়ে বড় হামলা বলে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠী এর দায় স্বীকার করেনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের এক চিকিৎসক জানিয়েছেন, নিহত ও আহতদের ৫০ জনকে ওই অঞ্চলের সবচেয়ে বড় মিরওয়াইস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
Leave a Reply