বিশেষ সংবাদ:
কুড়িগ্রামের সদর উপজেলায় ধরলা নদীর পাড়ে মাধবরাম গ্রামে অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য নির্ধারিত জায়গা পরিদর্শন করেন ভুটানের রাজা। প্রায় ১৫ মিনিট সেখানে অবস্থান করেন তিনি।
ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক বৃহস্পতিবার দুপুরে কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য নির্ধারিত এলাকা পরিদর্শন করেন।কুড়িগ্রামে ‘ভুটানিজ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল’ পরিদর্শন করেছেন ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে কুড়িগ্রামের সদর উপজেলার ধরলা নদীর পাড়ে মাধবরাম গ্রামে অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য নির্ধারিত জায়গা পরিদর্শন করেন ভুটানের রাজা। প্রায় ১৫ মিনিট সেখানে অবস্থান করেন তিনি।
বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন সাংবাদিকদের জানান, ‘ভুটানের রাজা নির্ধারিত জায়গাটিতে অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার ব্যাপারে একমত হয়েছেন। জায়গাটি তিনি পছন্দ করেছেন। ভুটানের রাজা বলেছেন যে, যখন অর্থনৈতিক অঞ্চলের কাজ শুরু হবে তখন তিনি এখানে আসবেন। এখানকার যোগাযোগ ব্যবস্থা নিয়ে তিনি সন্তুষ্ট।
শেখ ইউসুফ হারুন বলেন, ভুটানের রাজা জানিয়েছেন যে স্থানীয় লোকজনের চাহিদা এবং বিনিয়োগকারীদের চাহিদার সমন্বয়ে এখানে কলকারখানা গড়ে উঠবে। বিশেষ করে কৃষিভিত্তিক উৎপাদনকে প্রাধান্য দেওয়া হবে।’
ভুটানের রাজা অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন শেষে বিকেল ৩টার দিকে ভুরুঙ্গামারীর সোনাহাট স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের আসামের গোলকগঞ্জে প্রবেশ করেন।
ভুটানের রাজার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, কুড়িগ্রাম-২ আসনের সংসদ সদস্য হামিদুল হক খন্দকার, কুড়িগ্রাম-৪ আসনের সংসদ সদস্য বিপ্লব হাসান পলাশ, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ, পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম পৌর মেয়র কাজিউল ইসলামসহ অন্যরা।
২০২৩ সালের মে মাসে লন্ডনে ভুটানের রাজা ও রানির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সভায় কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ ও ভুটান সরকারের যৌথ উদ্যোগে ‘ভুটানিজ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল’ প্রতিষ্ঠার জন্য কুড়িগ্রাম জেলা শহরের পূর্ব পাশে ধরলা ব্রিজের পূর্বে কুড়িগ্রাম-সোনাহাট স্থলবন্দর মহাসড়কের পাশে অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য জায়গা নির্ধারণ করে জেলা প্রশাসন ও বেজা। সেখানকার ১৩৩ দশমিক ৯২ একর খাস জমি বেজাকে হস্তান্তর করেছে জেলা প্রশাসন।
Leave a Reply