বিশেষ সংবাদ:
ফেনী শহরের সুলতানপুর এলাকায় গরু ব্যবসায়ী শাহজালালকে গুলি করে হত্যা মামলায় জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর এবার পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদ ফিরে পেতে যাচ্ছেন আবুল কালাম।
বুধবার স্থানীয় সরকার বিভাগের পৌর-১ শাখার উপ-সচিব মো: আব্দুর রহমান স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে রোববার জারি হওয়া আদেশের কপি মঙ্গলবার ফেনী পৌরসভায় পৌঁছেছে।
ওই আদেশে উল্লেখ করা হয়, ‘হাইকোর্ট বিভাগে দায়েরকৃত রিট পিটিশন নং- ৯৫৩১/২০২৩ এর ১৫ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখের আদেশের কপি পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে প্রেরণ করা হলো।’
গত বছরের ১৫ মে উপ-সচিব মো: আব্দুর রহমান স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে তাকে স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন, ২০০৯-এর ধারা ৩১ (১) অনুযায়ী কোন পৌরসভার কাউন্সিলর পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে আবুল কালাম হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করেন। হাইকোর্ট বিভাগ উপর্যুক্ত প্রজ্ঞাপন ছয় মাস পর্যন্ত স্থগিত করেন। চলতি বছরের গত ১২ ফেব্রুয়ারি সিনিয়র সহকারী সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) পূরবী গোলদার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেন।
তিনি জানান, আবুল কালাম বর্তমানে নওগাঁ জেলায় তাবলীগ জামাতে রয়েছেন। সোমবার বিকেলে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে তাকে মোবাইল ফোনে সাময়িক বরখাস্ত আদেশ স্থগিতের বিষয়টি জানানো হয়েছে।
এর আগে আবুল কালামকে ওই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকেও বহিস্কার করা হয়। দীর্ঘ ১ বছর ৮ মাস পলাতক থেকে গত বছরের গত ১৪ মার্চ তিনি (কালাম) আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১৫ জুলাই রাতে কোরবানির ঈদ উপলক্ষ্যে কিশোরগঞ্জ থেকে শাহজালালসহ কয়েকজন মৌসুমী গরু ব্যবসায়ী একটি ট্রাকে গরু নিয়ে সুলতানপুরে আসেন। ওই রাতে ট্রাক-সহ গরু লুট করতে যান পৌরসভার কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের বহিস্কৃত সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম ও তার সহযোগীরা। এতে বাধা দেয়ায় শাহজালালকে গুলি করে হত্যার পর পাশের পুকুরে লাশ ফেলে দেয়া হয়। ঘটনার পর পুলিশ তার বাড়ি থেকে রক্তমাখা পাঞ্জাবী উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নিহতের চাচাতো ভাই আল আমিন আবুল কালাম, তার ভাতিজা আশরাফ হোসেন রাজু ও সহযোগী নাঈমুল হাসানের নাম উল্লেখ করে ফেনী মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে কালামের সহযোগী আশরাফ হোসেন ও নাঈমুল হাসানকে পুলিশ তাৎক্ষণিক গ্রেফতার করলেও কালাম পালিয়ে যায়। গ্রেফতারের পর নাঈমুল আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
Leave a Reply