বিশেষ সংবাদ:
চুয়াডাঙ্গায় টানা ২০ দিন ধরে অব্যহত রয়েছে তীব্র তাপপ্রবাহ। সোমবার বেলা ৩ টায় এখানে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
তীব্র তাপে এখানে গলে যাচ্ছে রাস্তার পিস। পানির স্তর নেমে গেছে। স্তর নীচে নেমে যাওয়ায় চুয়াডাঙ্গার অধিকাংশ গ্রামে টিউবওয়েলে পানি উঠছে না। টানা ২০ দিন তীব্র তাবদাহের কারণে হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে ডায়রিয়া জনিত রোগী। সেই সাথে শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও বেড়ে চলেছে। তীব্র রোদের কারণে শ্রমিক, দিনমজুর, রিকশা-ভ্যান চালকরা কাজ করতে না পেরে অলস সময় পার করছেন। জনসাধারণকে সতর্ক ও সচেতন করতে জেলায় বার বার হিট এলার্ট জারি করে মাইকিং করেছে কর্তৃপক্ষ।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান জানান, সোমবার সকাল ৯ টায় চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৪৯ শতাংশ। দুপুর ১২টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমান ছিলো ১৬ শতাংশ। কিন্তু বিকেল ৩ টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১৩ শতাংশ।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান জানান, টানা ২০ দিন ধরে চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করছে। জেলায় হিট এলার্ট জারী আছে। ৪০ থেকে ৪৩ ডিগ্রীর মধ্যে ওঠানামা করছে তাপমাত্রা। এপ্রিল মাস জুড়েই এ অবস্থা বজায় থাকবে। তাপমাত্রা আরো বাড়ার সম্ভাবনা আছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা জানান, হিট এলার্ট মেনে চলতে সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে কৃষি, গবাদি পশুর প্রতি যতœশীল হতে হবে। আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে যে তথ্য ও নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে সে অনুযায়ী মাইকিং করা হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
সূত্র- বাসস
Leave a Reply