বিশেষ সংবাদ:
কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক। শুক্রবার সকাল ১১টায় কাশিমপুর উচ্চ-নিরাপত্তা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি মুক্তি পান বলে জানান সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা।
জেল সুপার জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে জামিনের কাগজপত্র কারাগারে পৌঁছায়। যাচাইবাছাই শেষে শুক্রবার সকাল ১১টায় তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
মামুনুলের বিরুদ্ধে ঢাকায় এবং ঢাকার বাইরে মোট ৪১টি মামলা রয়েছে। সব মামলায় জামিন পাওয়ার পর কারামুক্ত হলেন তিনি।
মামুনুল হক মুক্তি পাচ্ছেন- এমন খবরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কারাগারের সামনে তার কিছু সমর্থক ভিড় করলেও শুক্রবার তার মুক্তির সময়ে কারাগারের সামনে তেমন কাউকে দেখা যায়নি।
২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টের একটি কক্ষে মামুনুল হক ও তার কথিত স্ত্রীকে অবরুদ্ধ করে ছাত্রলীগ-যুবলীগ। পরে খবর পয়ে পুলিশ গিয়ে ওই দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় হেফাজত ও মাদ্রাসার ছাত্ররা রিসোর্টে হামলা চালিয়ে তাদের ছিনিয়ে নেয়।
ওই ঘটনার ১৫ দিন পর মামুনুল হককে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে ঢাকা মহানগর তেজগাঁও বিভাগের পুলিশ গ্রেপ্তার করে। এরপর একাধিক মামলায় তিনি কাশিমপুর কারাগারে বন্দি ছিলেন।
রিসোর্টকাণ্ডের ২৭ দিন পর ২০২১ সালের ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় হাজির হয়ে ওই নারী মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বিয়ের কথা বলে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন।
রিসোর্ট ছাড়াও বিভিন্ন স্থানে ধর্ষণ করে মামুনুল: আদালতে ঝর্ণারিসোর্ট ছাড়াও বিভিন্ন স্থানে ধর্ষণ করে মামুনুল: আদালতে ঝর্ণা
খেলাফত মজলিস ও মামুনুল হকের পারিবার সূত্রে জানা গেছে, গ্রেপ্তারের আগ পর্যন্ত মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ১১টি মামলা ছিল। সবগুলোতে তিনি জামিনে ছিলেন। ২০২১ সালে গ্রেপ্তার হওয়ার পর তার বিরুদ্ধে আরও ৩০টি মামলা হয়।
সূত্র- একাত্তর টিভি
Leave a Reply