সরেজমিন প্রতিবেদন :
গতকাল ফেনী জেলার উপর দিয়ে দুপুর ১ টা থেকে ২ টা নাগাদ কালবৈশাখীর ঝড় বয়ে গেছে। এ সময় বজ্র সহ শিলা বৃষ্টি পরিলক্ষিত হয়।ব্যাপক বৃষ্টির কারণে শহরের রাস্তা গুলো হাটু পানিতে তলিয়ে যায়।শহরেরেএস এসকে রোড, ট্রাঙ্ক রোড , কলেজ রোড ও একাডেমী রোড সহ প্রায় সকল রাস্তা পানিতে তলিয়ে যায় । এ সময় পৌরসভার কর্মীরা ড্রেন গুলো পরিস্কার করে দিলে পানি নামতে শুরু করে।
ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক এর লালপোল এলাকায় একটি কড়ই গাছ রাস্তার উপর ভেঙে পড়ে। এতে রাস্তার একপাশে যানবাহন চলাচল বন্দ হয়ে যায়। এতে মহিপাল থেকে কসকা পযন্ত রাস্তায় ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। এছাড়া ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের মোহাম্মদ আলী বাজার, বিসিক মোড়, ছিলোনিয়া, হাফেজিয়া, টঙ্গির পাড়, সমিতির হাট সহ বিভিন্ন স্থানে কড়ই গাছের ঢাল ভেঙে যান চলাচলে ব্যাগাত ঘটায়।
জেলার বিভিন্ন স্থানে ঝড়ো বাতাসের কবলে পড়ে বিদ্যুতে তার, ডিস লাইনের তার, ইন্টারনেট লাইনের তার ছিড়ে গেছে। এতে জন সাধারণ এর ভোগান্তি চরমে।পল্লী বিদ্যুতের তথ্য মতে ফেনী জেলায় মোট ১১৭টি বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে গেছে, ৫৮টি ট্রান্সফরমার বিকল হয়ে গেছে । এখনো ৩ লক্ষ গ্রাহক বিদ্যুৎ বিচিন্ন অবস্থায় আছে।
তীব্র ঝড়ো হাওয়ায় আনেক স্থানের গাছ উপড়ে গেছে।গাছ ও গাছের ঢাল পড়ে গ্রামীন সড়ক যোগাযোগ ব্যাহত হচেছ । আবার অনেক স্থানে গাছের ঢাল ভেঙে গেছে। উপড়ে যাওয়া গাছ এবং গাছের ঢাল পড়ে মানুষের ঘর ও ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তীব্র ঝড়ো হাওয়ায় আনেকর ঘর বাড়ি ও ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান এর টিনের চাল উড়িয়ে নিয়ে গেছে।
শিলা বৃষ্টির কারণে গাছে থাকা আমের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সোনাগাজী উপজেলায় আবাদ করা তরমুজ ও ভাঙ্গীর প্রচুর ক্ষতি সাদন করেছে শিলা বৃষ্টি। শিলা বৃষ্টির কারনে আবাদ করা সবজি ও ফসলের অত্যধিক ক্ষতির আশংকা করা হচ্ছে। ঝড়ো হাওয়ায় পরশুরাম ও ফুলগাজী উপজেলার পাকা ধান নষ্ট হওয়ার আশংকা করা হচ্ছে।
শিলা বৃষ্টির কারনে ও গাছের নিচে পড়ে জনসাধারনের হতাহতের খবর পাওয়া গেছে। ফেনী সদর হাসপাতাল থেকে ২৬ জন আহত ব্যক্তি চিকিৎসা নিয়েছেন ।
Leave a Reply