বিশেষ সংবাদ:
সুপার ওভারে ওমানকে হারিয়ে জয় দিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর শুরু করলো নামিবিয়া। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে এটি চতুর্থ টাই ম্যাচ। এছাড়া ২০১২ সালের পর বিশ্বকাপের কোন ম্যাচ টাই দেখলো ক্রিকেট বিশ্ব।
‘বি’ গ্রুপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ১৯.৪ ওভারে ১০৯ রানে অলআউট হয় ওমান। বল হাতে নামিবিয়ার বাঁ-হাতি পেসার রুবেন ট্রাম্পেলমান ৪ উইকেট নেন। জবাবে ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১০৯ রান করে নামিবিয়া। এতে ম্যাচটি টাই হলে সুপার ওভারে গড়ায়।
সুপার ওভারে প্রথমে ব্যাট করে বিনা উইকেটে ২১ রান করে নামিবিয়া। ২২ রানের টার্গেটে ১ উইকেটে ১০ রান করে ম্যাচ হারে ওমান।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে এটি চতুর্থ টাই ম্যাচ। ২০১২ সালের পর বিশ্বকাপের কোন ম্যাচ টাই হলো। ২০০৭ সালে প্রথম আসরে বিশ্বকাপে প্রথম কোন ম্যাচে টাই দেখেছিল বিশ্ব। ভারত-পাকিস্তানের ওই ম্যাচ টাই হওয়ারর পর বোল-আউটে জয় পেয়েছিল টিম ইন্ডিয়া।
সোমবার (৩ জুন) বাংলাদেশ সময় সকালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বার্বাডোজে টস জিতে ওমানকে ব্যাট করতে পাঠা নামিবিয়া। বল হাতে নিয়ে ইনিংসের প্রথম দুই বলেই উইকেট তুলে নেন ট্রাম্পেলমান।
প্রথম বলে ওমানের ওপেনার কাশ্যপ প্রজাপতিকে ও দ্বিতীয় বলে আকিব ইলিয়াসকে লেগ বিফোর আউট করেন ট্রাম্পেলমান। প্রজাপতি ও ইলিয়াস গোল্ডেন ডাক মারেন। তৃতীয় ওভারে ওমানের আরেক ওপেনার নাসিম খুশিকে ৬ রানে ফেরান ট্রাম্পেলমান।
১০ রানে ৩ উইকেট পতনে চাপে পড়া ওমানকে লড়াইয়ে ফেরানোর চেষ্টা করেন মিডল অর্ডারের ব্যাটাররা। কিন্তু বড় জুটি না হওয়ায় ১৯ দশমিক ৪ ওভারে ১০৯ রানে অলআউট হয় ওমান।
মিডল অর্ডারে খালিদ কাইল ৩৯ বলে সর্বোচ্চ ৩৪, জিশান মাকসুদ ২২ ও আয়ান খান ১৫ রান করেন। নামিবিয়ার পক্ষে ৪ ওভারে ২১ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করেন ট্রাম্পেলমান । এছাড়া ডেভিড ওয়াইস ২৮ রানে ৩ উইকেট নেন।
ওমানের ছয় ব্যাটার লেগ বিফোর আউট হন। পুরুষ টি-টোয়েন্টিতে এটি কোন দলের জন্য সর্বোচ্চ লেগ বিফোর।
জবাবে খেলতে নেমে দ্বিতীয় বলে ওপেনার মাইকেল ফন লিনগেন খালি হাতে ফিরলেও, পরের তিন জুটিতে জয়ের পথেই ছিলো নামিবিয়া। দ্বিতীয় থেকে চতুর্থ উইকেট জুটিতে যথাক্রমে- ৪২, ৩১ ও ২৩ রান উঠে। ফলে ১৭ ওভার শেষে ৩ উইকেটে ৯২ রানে পৌঁছে যায় নামিবিয়া।
ফলে ৩ উইকেট হাতে নিয়ে শেষ ১৬ বলে ১৪ রান দরকার পড়ে তাদের। তবে শেষ দিকে পথ হারায় নামিবিয়া। শেষ ওভারে মাত্র ৫ রানের প্রয়োজনে ২ উইকেট হারিয়ে ৪ রান তুলে ম্যাচ টাই করে নামিবিয়া।
২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১০৯ রান করলে ম্যাচটি সুপার ওভারে গড়ায়। নামিবিয়ার ইনিংসে জান ফ্রাইলিঙ্ক ৪৫ ও নিকোলাস ডাভিন ২৪ রান করেন। ওমানের মেহরান খান ৩ উইকেট নেন।
সুপার ওভারে প্রথমে ব্যাট করে ওয়াইজ ও এরাসমাস নৈপুণ্যে বিনা উইকেটে ২১ রান তুলে নামিবিয়া। জবাবে ওয়াইসের করা ওভার থেকে ১ উইকেটে হারিয়ে ১০ রানের বেশি তুলতে পারেনি ওমান। ফলে সুপার ওভারে নামিবিয়া জয়লাভ করে।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আরেক খেলায় পাপুয়া নিউগিনিকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পিএনজির দেয়া ১৩৭ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ১৯ ওভারেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ক্যারিবিয়ানরা।
যদিও এদিন শুরুটা ভালো হয়নি স্বাগতিকদের। দলীয় ৮ রানে জনসন চার্লসকে শূন্য রানে আউট করে দলের হয়ে প্রথম সাফল্য এনে দেন আলেই নাও। এরপর বৃষ্টি বাধায় ২০ মিনিট বন্ধ থাকে।
আবারও ম্যাচ শুরু হলে দলের হাল ধরেন কিং ও পুরানা। এরপর দ্রুত কয়েক উইকেট হারিয়ে বিপাকে পরে উইন্ডিজ। শেষদিকে চেজ ও আন্দ্রে রাসেল দলকে জিতিয়ে মাঠে ছাড়েন।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় পাপুয়া নিউগিনি। দলীয় মাত্র ৫ রানেই টনি উরাকে ফেরান রোমারিও শেফার্ড। এরপর ২ রানের ব্যবধানে ওয়ানডাউনে নামা লেগা সিয়াকাকে ২ রানে বোল্ড করেন আকিল হোসেন। সেখান থেকে সেসে বাউকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংসের হাল ধরেন অধিনায়ক আসাদ ভালা।
Leave a Reply