বিশেষ সংবাদ:
ইসরায়েলি বাহিনী মধ্য গাজার একটি জাতিসংঘ সংশ্লিষ্ট স্কুলে বোমাবর্ষণ করেছে। এই হামলায় গাজায় অন্যান্য জায়গা থেকে পালিয়ে আসা অন্তত ৩২ ফিলিস্তিনি নিহত ও আরও অসংখ্য মানুষ আহত হয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার এই তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।
ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠন ও গাজার শাসক হামাস আজ ভোরবেলায় সংঘটিত এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে। সংগঠনটি এই হামলাকে ‘ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ’ বলে অভিহিত করেছে এবং জানিয়েছে, হতাহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন নারী ও শিশু রয়েছেন।
প্রায় ৯ মাসের সংঘাতে গাজা এখন কার্যত ধ্বংস্তুপে পরিণত হয়েছে।
ওয়াফা আরও জানিয়েছে, গাজার অন্য অংশ থেকে পালিয়ে আসা হাজারো ফিলিস্তিনি নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরের আল-সারদি স্কুলে আশ্রয় নিয়েছিল। এই স্কুলটি পরিচালণার সঙ্গে ফিলিস্তিনে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংগঠন (ইউএনআরডব্লিউএ) যুক্ত রয়েছে।
গাজার সরকারি গণমাধ্যম কার্যালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল আল-থাওয়াবতা বলেন, ‘মধ্য গাজার আল-আকসা হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য অসংখ্য আহত মানুষ এসেছেন। এ ছাড়া অনেকের মরদেহও এখানে নিয়ে আসা হচ্ছে।’
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘ইসরায়েলিদের এই ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ গণহত্যার স্পষ্ট প্রমাণ। এটি নারী, শিশু ও গাজা উপত্যকার অন্যান্য অঞ্চল থেকে পালিয়ে আসা বেসামরিক ব্যক্তিদের নিশ্চিহ্ন করার সুনিদৃষ্ট প্রচেষ্টা।’
তিনি জানান, হাসপাতালের সক্ষমতার চেয়ে তিন গুণ বেশি রোগী সেখানে আছেন।
‘এটি একটি বিপর্যয় এবং এ কারণে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়বে’, যোগ করেন তিনি।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বোমা বর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তারা জানায়, তাদের যুদ্ধবিমান ‘নুসেইরাত অঞ্চলে ইউএনআরডব্লিউএ স্কুলের ভেতর লুকিয়ে রাখা হামাসের কমপাউন্ডে হামলা চালিয়েছে’। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) দাবি, ‘ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হামলার পরিকল্পনারত হামাস যোদ্ধাদের নির্মূল করা হয়েছে’।
হামাস এই দাবি অস্বীকার করেছে।
আল-থাওয়াবতা রয়টার্সকে বলেন, ‘দখলদাররা (ইসরায়েল) মিথা কথা বলে। তারা বানোয়াট ও অতিরঞ্জিত গল্প বলে জনমতকে প্রভাবিত করতে চায়। তারা অসংখ্য বেসামরিক মানুষের বিরুদ্ধে পরিচালিত নৃশংস অপরাধকে যুক্তিযুক্ত করার চেষ্টা করছে’।
যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য মধ্যস্থতাকারী দেশ হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তির কাজ নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় আল-সারদি স্কুলে এই হামলা চালাল ইসরায়েল।
Leave a Reply