বিশেষ সংবাদ:
ধারাবাহিকভাবে তৃতীয়বার ভারতের প্রধানমন্ত্রীর পদে শপথ গ্রহণ করলেন নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রী হিসাবে টানা দশ বছর কাটানোর পর তার শরিক-নির্ভর তৃতীয় ইনিংস যে কিছুটা আলাদা হবে, তা আন্দাজ করেছিলেন অনেকেই। শপথ গ্রহণের দিনও সেই ছবি ফুটে উঠল মন্ত্রিসভার কাঠামোতে।
দেশ বিদেশের আট হাজার অতিথিকে সাক্ষী রেখে রোববার সন্ধ্যায় দিল্লির রাইসিনা হিলসে অনুষ্ঠিত হয় এই বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান। যেখানে আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে ছিলেন প্রতিবেশী রাষ্ট্রপ্রধানরাও। উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহামেদ মুইজ, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে, নেপালের প্রধানমন্ত্রী প্রচণ্ড, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে, মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী প্রবীন্দ জগন্নাথ এবং সিশেলসের ভাইস প্রেসিডেন্ট আহমেদ আফিফ ছাড়াও আরও অনেকে।
ওই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী ছাড়াও শপথ নিয়েছেন মন্ত্রিসভার পূর্ণমন্ত্রী এবং স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রীরা। তবে এইবার লোকসভা ভোটে সংখ্যা গরিষ্ঠতা না থাকায় দিল্লির মসনদে শরিক-নির্ভর এই মন্ত্রিসভা, যেখানে ৭২ জন মন্ত্রীর মধ্যে ১১ জন শরিক দলের।
‘ভারসাম্য’ বজায় রেখে জোট সরকারের অন্তর্গত তেলুগু দেশম পার্টি, জনতা দল ইউনাইটেড, শিবসেনা (শিন্ডে গোষ্ঠী), লোক জনশক্তি পার্টি (রামবিলাস), জনতা দল সেকুলার, রাষ্ট্রীয় লোক দল, হিন্দুস্তানি আওয়ামী মোর্চা (এইচএএম), রিপাবলিকান পার্টি অফ ইন্ডিয়া থেকে বেছে নেওয়া হয়েছে এই ১১ জন মন্ত্রীকে।
প্রধানমন্ত্রী মোদীর মন্ত্রিসভায় রয়েছে পুরানো এবং নতুন মুখ। রাজনাথ সিং, অমিত শাহ, নিতিন গডকড়ী, জগৎপ্রকাশ নাড্ডা, শিবরাজ সিং চৌহান, নির্মলা সীতারামন, এস জয়শঙ্করের মতো পুরানো মুখ। যদিও পূর্ববর্তী সরকারের তিন পরিচিত মুখ স্মৃতি ইরানি, অনুরাগ ঠাকুর এবং রাজীব চন্দ্রশেখর এবার ঠাঁই পাননি মন্ত্রিসভায়।
প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও রোববারের অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে শপথ পাঠ করেছেন ৩০ জন পূর্ণমন্ত্রী, পাঁচজন স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী এবং ৩৬ জন প্রতিমন্ত্রী। এদিকে, মন্ত্রিসভার বণ্টনকে কেন্দ্র করে শরিকদের মধ্যে ‘মতভেদ’ স্পষ্ট হয়েছে ইতোমধ্যে।
অজিত পাওয়ারের এনসিপির নেতা প্রফুল প্যাটেলকে স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রীর পদ দেওয়ার কথা জানানো হয়েছিল বিজেপির তরফে। যদিও সেই পদ নিতে চাননি প্রফুল প্যাটেল। এর আগে কেন্দ্রীয় সরকারে পূর্ণমন্ত্রী হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন তিনি, তাই বিজেপির তরফে তাকে এখন যে পদ গ্রহণ করার কথা বলা হচ্ছে তা ‘অবনতির’ সমান বলে মনে করছেন মি. প্যাটেল।
তথ্যসূত্র-বিবিসি
Leave a Reply