বিশেষ সংবাদ:
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। সবশেষ আসরে পাকিস্তানকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল ব্রিটিশরা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চলমান নবম আসরের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ইংরেজদের হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো ফাইনালে উঠে গেল ভারত।
২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসরের ফাইনালে পাকিস্তানকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত। এরপর ২০১৪ সালে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পঞ্চম আসরের ফাইনালে উঠেও শ্রীলংকার বিপক্ষে হেরে যায় ভারত।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এবারের নবম আসরে ইংরেজদের হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো ফাইনালে উঠে গেল ভারত। আগামীকাল বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্রিংটাউনে ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হবে বিরাট কোহলিরা।
গতকাল প্রথম সেমিফাইনালে আফগানদের হারিয়ে বিশ্বকাপের মতো বড় আসরে প্রথমবারের মতো ফাইনালে উঠে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথমবার ফাইনালে উঠেই ভারতকে হারিয়ে শিরোপা ঘরে তুলতে চায় মার্করামের নেতৃত্বাধীন প্রোটিয়া দলটি।
বৃহস্পতিবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় সেমিফাইনাল ম্যাচে মুখোমুখি হয় ভারত-ইংল্যান্ড। এদিন আগে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ১৭১ রান করে ভারত।
টার্গেট তাড়া করতে নেমে অক্ষর প্যাটেল ও কুলদীপ যাদবের স্পিন আর জসপ্রিত বুমরাহের গতিতে বিভ্রান্ত হয়ে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ১৬.৪ ওভারে ১০৩ রানেই অলআউট হয় ইংল্যান্ড। ৬৮ রানের জয়ে ফাইনালে উঠে যায় ভারত।
ভারতের জয়ে ৩টি করে উইকেট নেন অক্ষর প্যাটেল ও কুলদীপ যাদব। ২ উইকেট শিকার করেন পেস বোলার জসপ্রিত বুমরাহ।
এদিন টস জিতে ভারতকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠায় ইংল্যান্ড। ব্যাটিংয়ে নেমেই ২.৩ ওভারে স্কোর বোর্ডে মাত্র ১৯ রান জমা হতেই সাজঘরে ফেরেন সাবেক অধিনায়ক বিরাট কোহলি। চলতি বিশ্বকাপে ছন্দে নেই এই তারকা ওপেনার। দলীয় ৪০ রানে ফেরেন ঋষভ পন্থ।
এরপর সূর্যকুমার যাদবকে সঙ্গে নিয়ে ৫০ বলে ৭৩ রানের জুটি গড়েন অধিনায়ক রোহিত মর্শা। দলীয় ১১৩ রানে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার রোহিত। তার আগে ৩৯ বলে ৬টি চার আর দুটি ছক্কার সাহায্যে সর্বোচ্চ ৫৭ রান করেন ভারতীয় অধিনায়ক।
এরপর মাত্র ১১ রানের ব্যবধানে ফেরেন ব্যাটিং তান্ডব চালিয়ে ৬ বলে চারটি চার আর দুটি ছক্কার সাহায্যে ৪৭ রান করা সূর্যকুমার যাদব। ৪ উইকেটে ভারতের সংগ্রহ ছিল ১৪৬ রান। এরপর মাত্র দুই বলের ব্যবধানে ফেরেন হার্দিক পান্ডিয়া ও শিবম দুবে।
ইনিংসের ১৮তম ওভারের দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে ক্রিস জর্ডানকে ছক্কা হাঁকান। চতুর্থ বলে কুরানের হাতে তালুবন্দি হয়ে বিদায় নেন হার্দিক পান্ডিয়া। তিনি ১৩ বলে ২৬ রান করেন। পঞ্চম বলে শিবাম দুবে এসেই বাটলারের হাতে কটবিহাইন্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন। ক্রিজে নেমে ষষ্ঠ বলে ১ রান নিয়ে জর্ডানের হ্যাটট্রিক ঠেকান অক্ষর প্যাটেল।
এরপর ৬ বলে ১০ রান করে ইনিংস শেষ হওয়ার এক বল আগে ফেরেন অক্ষার প্যাটেল। শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭১ রানে ইনিংস থামায় ভারত। ইংল্যান্ডের হয়ে ক্রিস জর্ডান ৩ ওভারে ৩৭ রান খরচ করে ৩ উইকেট শিকার করেন।
টার্গেট তাড়া করতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পতনের কারণে কোনো প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেনি ইংল্যান্ড। দলের হয়ে অধিনায়ক জস বাটলার ১৫ বলে ২৩ রান করেন। ১৯ বলে ২৫ রান করেন হ্যারি ব্রুক। ১৫ বলে ২১ রান করেন পেস বোলার জোফরা আর্চার। ১৬ বলে ১১ রান করেন লিয়াম লিভিংস্টোন।
Leave a Reply