বিশেষ প্রতিবেদন:
দুইজন মারা গেছেন তাদের কারখানায় যন্ত্রপাতি সরাতে গিয়ে, একজন বিদ্যুতায়িত হয়েছেন নিজের ঘরে, একজন রাস্তায় বিদ্যুতের খুঁটি ধরার পর প্রাণ হারিয়েছেন।
শুক্রবার মিরপুর, ভাসানটেক ও সূত্রাপুর এলাকায় ঘটনায় তাদের প্রাণ যায় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
নিহতরা হলেন- কাঠমিস্ত্রি রাসেল দাস ও তার সহকারী আলাউদ্দিন, নির্মাণ শ্রমিক আব্দুন নূর এবং রংমিস্ত্রী আইয়ুব আলী।
পল্লবী থানার এসআই আব্দুল আজিজ জানান, বাউনিয়া বাঁধ আজিজ মার্কেট এলাকায় পরিবারের সঙ্গে থাকতেন রাসেল। তিনি চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার রতন দাসের ছেলে। ১৭ মাস বয়সী একটি ছেলে রয়েছে তার। তার সহকারী আলাউদ্দিনও ঢাকায় একই থাকতেন। তিনি ময়মনসিংহের তারাকান্দার বাচ্চু মিয়ার ছেলে।
রাসেলের ভায়রা সুমন দাস বলেন, বাউনিয়া বাঁধের আজিজ মার্কেটে খাদিজা ফার্নিচারের কারখানায় কাজ করতেন রাসেল। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে প্রবল বৃষ্টিতে কারখানায় পানি ঢুকে যায়। সেখানে একটি ভারী মেশিন ডুবে যাওয়া দেখে রাসেল ও আলাউদ্দিন সরাতে গেলে বিদ্যুতায়িত হয়ে অচেতন হয়ে পড়েন। পরে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিলে তাদের মৃত ঘোষণা করা হয়।
আব্দুন নূরের মৃত্যুর বিষয়ে ভাসানটেক থানার এসআই প্রণয় কৃষ্ণ মণ্ডল বলেন, বৃষ্টির পর বিকালে উত্তর ভাসানটেকে নিজের বাসায় জমে থাকা পানিতে বিদ্যুতের তারের সংস্পর্শ হলে অচেতন হয়ে পড়েন আব্দুন নূর। পরে তাকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিলে মৃত ঘোষণা করা হয়।
নূর সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার ফাজিলপুর গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে। উত্তর ভাষানটেকে পরিবার নিয়ে থাকতেন।
সূত্রাপুর আইয়ুব আলীর মৃত্যুর বিষয়ে কোতয়ালী থানার এসআই রাজীব ঢালী জানান, বিকালে ঢাকা মহানগর মুখ্য হাকিম আদালতের পাশে আগরবাতি গলি দিয়ে যাচ্ছিলেন আইয়ুব। জলাবদ্ধ গলিতে বিদ্যুতের খুঁটি ধরার সঙ্গে সঙ্গে তিনি অচেতন হয়ে পড়েন তিনি। তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আইয়ুবের বাড়ি পিরোজপুরের নাজিরপুরের তারাবুনিয়া গ্রামে। সূত্রাপুর মথমার গলিতে পরিবারের সঙ্গে থাকতেন।
Leave a Reply