সরেজমিন প্রতিবেদন :
গতকাল সারাদেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অংশগ্রহণকারীদের সাথে ছাত্রলীগ এবং পুলিশের সংঘর্ষে সারাদেশে ছয় জন নিহত হয়। এরই ফলশ্রুতিতে গতকাল রাত দশটায় দেশের সকল স্কুল-কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় গুলো বন্ধ ঘোষণা করা হলেও ঢাকা, চট্টগ্রাম, জাহাঙ্গীরনগর, রাজশাহী, বুয়েট সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছাত্ররা সরে যেতে অ স্বীকৃতি জানায়।তারা তাদের হল গুলোতে অবস্থানে অনড় থাকে। আজ এ সকল বিশ্ববিদ্যালয় গুলোয় সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তাদের সভা কোন সিদ্ধান্ত ছাড়া শেষ করে। আজ দশে মহরম হওয়ার কারণে আগে থেকে সরকারি বন্ধ ছিল। সরকারি বন্ধের কারণে এবং চলমান শিক্ষকদের কর্ম বিরতির কারণে অধিকাংশ শিক্ষকই ক্যাম্পাসগুলোতে নিজেদের বাসভবনে অবস্থান করছেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার ভবন এবং বিভিন্ন একাডেমিক ভবন , হল ঘুরে দেখা যায় ছাত্ররা এখনো হলে অবস্থান করছেন এবং কিছু ছাত্র ক্যাম্পাস ছেড়ে আস্তে আস্তে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। হঠাৎ সিদ্ধান্ত হওয়ার কারণে ছাত্রী হল গুলোতে এখনো সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক বিষয় নিয়ে কথা বলার চেষ্টা করি ভূগোল ও পরিবেশ বিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ডক্টর আতিকুর রহমান স্যার এর সাথে তিনি জানান যে, গত ১ জুলাই ২০২৪ থেকে সারাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাথে মিল রেখে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি কর্মবিরতি পালন করে যাচ্ছে।মূলত শিক্ষকরা দুইটি দাবি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে প্রথমটি হল সরকার ঘোষিত সার্বজনীন পেনশন স্কিম প্রত্যয় থেকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের কে বাদ দেয়া দ্বিতীয় বিষয়টি হচ্ছে সরকারের দেয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সুপার গ্রেড বাস্তবায়ন। দীর্ঘ দিন কর্ম বিরতি চললেও সরকারের পক্ষ থেকে কোন প্রকার কর্ণপাত করা হচ্ছে না। যার কারনে শিক্ষকরা ও তাদের কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছেন। অন্যদিকে ছাত্রদের কোটা সংস্কার আন্দোলনের বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন অতীতের ন্যায় সরকার চাইলে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি ঠিক করতে পারতো। কিন্তু সরকার পুরো বিষয়টা আন্দোলনকারীদের পাশ কাটিয়ে আদালতের উপর নাস্তা করে যার কারনে সারাদেশের ছাত্র-ছাত্রীরা অশান্ত হয়ে পড়ে। গত১৫ তারিখ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মীদের উপর ছাত্রলীগ যে হামলা চালিয়েছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন ঐ দিন আমি ক্যাম্পাসে ছিলাম না। পরে বিষয়টি জানতে পেরেছি আমরা কোন প্রকার হামলায় বিশ্বাস করিনা আমরা সকলে ন্যায্য অধিকার আদায়ে বিশ্বাসী।তিনি আরো বলেন দেশের যে সার্বিক পরিস্থিতি তাতে মনে হয়না এই বিষয়গুলো খুব সহজে সমাধান হবে পুরো জাতি আজ বিভক্ত হয়ে পড়েছে ।
Leave a Reply