বিশেষ প্রতিবেদন :
সরকারের কাছে তিন দফা দাবি জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। দাবিগুলো হলো কমিশন গঠন ও অংশীজনদের নিয়ে আলোচনা ও সুপারিশের ভিত্তিতে সংসদে কোটাবিষয়ক আইন প্রণয়ন, মামলা প্রত্যাহারসহ আটক করা শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মুক্তি এবং সম্প্রতি কোটা আন্দোলনকে ঘিরে নিহতের সঙ্গে জড়িত ও নির্দেশদাতা সবাইকে ‘সরকারি দায়িত্ব’ থেকে অব্যাহতি দিয়ে আইনের আওতায় আনা।
গতকাল শনিবার রাত ৮টায় অনলাইন প্ল্যাটফরম গুগল মিটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে সংগঠনের অন্যতম সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসুদ এই ঘোষণা দেন। তিনি এই দাবি পূরণের জন্য সরকারকে ২৪ ঘণ্টা সময় দিয়েছেন।
দাবি পূরণ না হলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।
সাম্প্রতিক কোটা আন্দোলনকে ঘিরে সংঘাত-সহিংসতায় ২৬৬ জন নিহত হয়েছেন বলে ব্রিফিংয়ে দাবি করা হয়েছে। এ ছাড়া মামলাগুলোকে মিথ্যা বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
ব্রিফিংয়ে বলা হয়, সরকার মহল থেকে বলা হচ্ছে যে আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীরা নাশকতার সঙ্গে জড়িত নয়।
অথচ সারা দেশে সাড়ে তিন হাজারের বেশি সাধারণ শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আন্দোলনের সমন্বয়ক ও সহসমন্বয়কদের নামে শাহবাগ থানায় ১১টি মামলা হয়েছে। ব্রিফিংয়ে অভিযোগ করা হয়, শিক্ষার্থীদের বাসায় বাসায় গিয়ে হুমকি দেওয়া হচ্ছে এবং তাঁদের কারাগারে পাঠানো হচ্ছে।
ব্রিফিংয়ে আরো বলা হয়, রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে ছাত্রসমাজকে অত্যাচার করা হয়েছে।
বিশ্ববাসীর কাছে দালিলিক প্রমাণসহ তা উপস্থাপন করা হবে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আজ রবিবার থেকে সারা দেশে অনলাইন ও অফলাইন ব্যবহার করে এই প্রচারণা কার্যক্রম চালাবে। একই সঙ্গে বিভিন্ন দূতাবাসে দলিল পেশ করার পাশাপাশি সারা দেশে দেয়াল লিখন কার্যক্রম চালানোর ঘোষণা দেওয়া হয়।
যদি এ তিন দফা দাবি ২৪ ঘন্টার মধ্যে পূরণ না হয় তবে সোমবার থেকে বাংলা ব্লকড এর মত কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
Leave a Reply