বিশেষ প্রতিবেদন
সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদ ও সাবেক সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী।
ক্ষমতার অপব্যবহার, অবৈধ সম্পদ অর্জন, অর্থ পাচার ও ক্রয় বাণিজ্যসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদ ও তার দুই ভাই হারিস আহমেদ, তোফায়েল আহমেদ জোসেফের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা তথ্যের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আকতারুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আকতারুল ইসলাম জানান, সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে ক্ষমতা অপব্যবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনৈতিক কার্যক্রমসহ নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। তিনি দুর্নীতির মাধ্যমে রাজধানীসহ বিভিন্ন জায়গায় বাড়ি, ফ্ল্যাট ক্রয়সহ ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে আলিশান বাংলো নির্মাণ করেছেন। এ ছাড়া, মিরপুর ডিওএইচএস-এ বাড়ি, ঢাকার নিকুঞ্জ-১ এর ৬ নম্বর রোডে ‘আজিজ রেসিডেন্স’ নামের বাড়ি আছে। তার ছোট ভাই তোফায়েল আহমেদ ও জোসেফের নামে ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় বাড়ি ও কয়েকশ বিঘা জমি কিনেছেন। এছাড়াও তার দেশে-বিদেশে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের তথ্য দুদকের গোয়েন্দা অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে।
আকতারুল ইসলাম আরও জানান, ফেনী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. নিজাম উদ্দিন হাজারীর বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনৈতিক কার্যক্রমের ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে। নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে তার নিজ নামে, স্ত্রী ও পরিবারের নামে কোটি কোটি টাকার সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। এছাড়াও তার দেশে-বিদেশে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের তথ্য দুদকের গোয়েন্দা অনুসন্ধানে উঠে এসেছে। যে কারণে তাদের বিরুদ্ধে দুদক অনুসন্ধান শুরু করেছে। তার বিরুদ্ধে টেন্ডার বাণিজ্য, সরকারি সম্পত্তি দখল, সরকারি অর্থ আত্মসাৎ, চাঁদাবাজির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।
Leave a Reply