1. abdullahharun2014@gmail.com : dailysarabela24 :
শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:২৬ পূর্বাহ্ন
নোটিশ :
দৈনিক সারাবেলা ২৪ , সত্য সংবাদ প্রকাশে আপোষহীন visit . www.dailysarabela24.com অনলাইন ভিত্তিক নিউজ পোর্টাল সংবাদ পড়ুন ও মন্তব্য করুন, আপনার প্রতিষ্ঠানের এড দিন , সংবাদ প্রকাশের জন্য যোগাযোগ করুন - ০১৯৭১-৮৪১৬৪২,০১৩২২-১৭৫০৫২
সংবাদ শিরোনাম:
সারা দেশে ২ হাজার ২৭৬ জনকে ক্রসফায়ারে হত্যা ও ১৫৩ জনকে গুম করার অভিযোগ বিএনপির আলিয়া মাদ্রাসা মাঠের আদালত এজলাস পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা, বিচারকাজ বন্ধ ৩৪ কেজি গাঁজা ও কাভার্ডভ্যানসহ এক মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে সিটিটিসি ঢাকায় বিশেষ দায়িত্বে আসছেন ট্র্যাসি জ্যাকবসন যুদ্ধাপরাধের বিচারের ভয় পেয়ে বসেছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীকে চট্টগ্রাম আদালত থেকে গায়েব হওয়া ৯ বস্তা নথি মিললো ভাঙারির দোকানে দুর্ধর্ষ আন্তঃজেলা ডাকাত দলের দুই সক্রিয় সদস্যকে দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেফতার করেছে ডিবি-রমনা লন্ডনে পৌঁছেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের দিকে পদযাত্রা শাহবাগে আটকে দিলো পুলিশ ভারতসহ এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে মহাসড়ক নির্মাণ ব্যয় কয়েক গুণ বেশি

সবার আগে জুলাই ও আগষ্ট এর হত্যাকান্ডের বিচার নিশ্চিত করা হবে -প্রধান উপদেষ্টা

  • আপডেটের সময় : শুক্রবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ২৪ বার ভিউ

বিশেষ সংবাদ :
শহীদদের আত্মত্যাগে উদ্বুদ্ধ হয়ে ইতিহাসের গতিপথ পরিবর্তন করে এক নতুন যুগের সূচনা করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, ‘আজ আমরা বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জনের প্রথম মাস উদযাপন করছি। ইতিহাসের অন্যতম গৌরবময় বিপ্লবের জন্য শত শত ছাত্র এবং সর্বস্তরের মানুষ সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছে। আমাদের তরুণ বিপ্লবীরা দেশের মানুষের মনে নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে স্বপ্ন জাগিয়ে দিয়েছে, তা পূরণে আমি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।’

ড. ইউনূস বলেন, ‘আমাদের প্রথম কাজ জুলাই ও আগস্টের হত্যাকা-ের বিচার ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা। গণহত্যার বিষয়ে জাতিসংঘের নেতৃত্বে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত পরিচালনা করার জন্য আমরা জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তরকে আমন্ত্রণ জানিয়েছি। তারা এ দেশে এসে কাজ শুরু করে দিয়েছেন।’

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের এক মাস পূর্তি উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার এক বার্তায় এসব কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, ‘জুলাই ও আগস্ট মাসে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিচারের জন্য একটি আন্তর্জাতিকমানের ট্রাইব্যুনাল তৈরি করার প্রয়াসে শীর্ষ আন্তর্জাতিক আইন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গেও কথা বলা হয়েছে। খুনিদের প্রত্যর্পণ এবং স্বৈরাচারের সময় দুর্নীতিবাজরা যে পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করেছে, তা দেশে ফিরিয়ে আনতে বিশেষজ্ঞ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলাপ শুরু করেছি।’

ড. ইউনূস বলেন, ‘আমাদের প্রধান দায়িত্বগুলোর মধ্যে একটি হলো বিপ্লবের সময় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হাজার হাজার মানুষের বিনামূল্যে চিকিৎসা নিশ্চিত করা। হাসিনার দুর্বৃত্তরা তাদের চোখ লক্ষ্য করে রাবার বুলেট ছোড়ায় অসংখ্য তরুণ শিক্ষার্থী দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছে। আপ্রাণ চেষ্টা করব তাদের চোখের আলো ফিরিয়ে দিতে। শহীদ ও আহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরির জন্য ক্রমাগত কাজ করে যাচ্ছি আমরা। আহত শত শত মানুষ যাদের দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা প্রয়োজন, তাদের ব্যয়বহুল চিকিৎসা এবং শহীদদের পরিবারের দেখাশোনার জন্য একটি ফাউন্ডেশন তৈরি শেষপর্যায়ে আছে।’

গুম থেকে সব নাগরিকের সুরক্ষার জন্য আন্তর্জাতিক কনভেনশন সনদে স্বাক্ষর করার কথা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “স্বৈরাচার দ্বারা প্রতিষ্ঠিত ‘গুম সংস্কৃতি’র সমাপ্তি ঘটানোর জন্য আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছি। এ ছাড়া ফ্যাসিবাদী শাসনের ১৫ বছরে বলপূর্বক গুমের ঘটনা তদন্তে একটি কমিশন গঠন করা হয়েছে। আয়নাঘরগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। শিগগিরই আমরা বলপূর্বক গুমের শিকার ভাইবোনদের কষ্ট ও যন্ত্রণা সম্পর্কে জানতে পারব।’

তিনি বলেন, ‘তারা (বিপ্লবী ছাত্র-জনতা) ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনার ১৫ বছরের স্বৈরশাসনের অবসান ঘটিয়েছে, যার নেতৃত্বে নৃশংস একটি গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে। শেখ হাসিনা একটি দুর্নীতিগ্রস্ত রাষ্ট্র এবং একটি ভঙ্গুর অর্থনীতি রেখে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। বাংলাদেশকে এর পূর্ণ গৌরবে প্রতিষ্ঠিত করার দায়িত্ব আমাদের।’

ড. ইউনূস বলেন, ‘এখন আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে দুঃশাসন ও স্বৈরাচার দ্বারা সৃষ্ট ক্ষত পূরণ করা। এজন্য প্রয়োজন একতা ও সমন্বয়। আমরা সবাই প্রতিজ্ঞা নিলাম শহীদদের রক্ত এবং আহত ভাইবোনদের আত্মত্যাগকে জাতি হিসেবে কিছুতেই ব্যর্থ হতে দেব না। যে সুযোগ তারা আমাদের জন্য তৈরি করে দিয়েছেন, সেই সুযোগকে আমরা কখনো হাতছাড়া হতে দেব না। আজ তাদের স্মৃতিময় দিনে আবারও প্রতিজ্ঞা করলাম, তাদের স্বপ্নের নতুন বাংলাদেশ আমরা গড়বই।’

‘আজ আমি সেই সাহসী তরুণ, শ্রমিক, দিনমজুর, পেশাজীবীদের স্মরণ করছি, যারা জঘন্য হত্যাকারী ফ্যাসিবাদী শক্তিকে মোকাবিলা করতে গিয়ে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেছিল। স্মরণ করছি, আন্দোলন চলাকালে নিহত সাংবাদিকদের। আজ আমি এই বিপ্লবে শাহাদতবরণকারী সবার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই’ যোগ করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, ‘আমি অভিবাদন জানাই হাজার হাজার মানুষকে, যারা আহত হয়েছেন, প্রাণঘাতী আঘাতের শিকার হয়ে চিরজীবনের জন্য পঙ্গু হয়েছেন, কিংবা চক্ষু হারিয়েছেন।’

তরুণদের উদ্দেশে ড. ইউনূস বলেন, ‘তোমরা তোমাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের শপথ নিয়েছিলে। বিপ্লবের সময়, তোমরা পড়াশোনা ছেড়ে দিয়ে বন্ধুদের নিয়ে উদ্বিগ্ন ঘুমহীন রাত কাটিয়েছ এবং দিনে নিষ্ঠুর শাসনকে প্রতিহত করার জন্য পরস্পরের থেকে চিরবিদায় নিয়ে রাস্তায় নেমেছ।’

বিপ্লব শেষ হওয়ার পর ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও তাদের উপাসনালয় তরুণরা পাহারা দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ট্রাফিক পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছ তোমরা। তোমাদের পড়াশোনার অনেক ক্ষতি হয়েছে। এখন সময় পড়াশোনায় ফেরার। স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় খোলা হয়েছে। আমি তোমাদের ক্লাসে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। কেননা বিপ্লবের সুফল ঘরে তুলতে আমাদের একটি সুশিক্ষিত ও দক্ষ প্রজন্মের দরকার।’

প্রধান উপদেষ্টা তার বার্তায় বলেন, ‘আমরা রাজনৈতিক দল, সম্পাদক, ব্যবসায়ী নেতা, সুশীলসমাজের নেতা এবং কূটনীতিকদের সঙ্গে ক্রমাগতভাবে বৈঠক করে যাচ্ছি। তারা আমাদের সংস্কার উদ্যোগকে সমর্থন করেছেন। আমরা বিদেশি বন্ধুদের কাছ থেকে প্রচুর সমর্থন পেয়ে অভিভূত হয়েছি। আমাদের সাহসী এবং দেশপ্রেমিক প্রবাসীরাও জাতি পুনর্গঠনের প্রচেষ্টায় নিয়োজিত রয়েছেন। তাদের সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’

শহীদদের প্রতিটি পরিবারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি সব শহীদ পরিবারের সদস্যদের রাজধানীতে আমন্ত্রণ জানাব, কয়েক দিনের মধ্যেই তাদের সঙ্গে দেখা করব। আমি তাদের আশ্বস্ত করতে চাই যে, আমরা কখনোই শহীদদের স্বপ্নের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করব না।’

তথ্য সূত্র – দেশ রূপান্তর

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে ভাগ করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ©2024 ওয়েবসাইট এর কোনো লেখা, ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি
Desing & Developed BY ThemeNeed.com