বিশেষ প্রতিবেদন :
বিএনপি ক্ষমতায় এলে ফ্যামিলি কার্ডের ব্যবস্থা করবে। এতে দেশের মানুষের উপকার হবে। আর ফ্যামিলি কার্ডটি দেওয়া হবে পরিবারের গৃহিণীর নামে। নারী ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে কাজ করবে বিএনপি।
গতকাল সোমবার বিকেলে কিশোরগঞ্জ শহরের পুরাতন স্টেডিয়ামে জেলা বিএনপি আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
তারেক রহমান আরও বলেন, দেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সহায়তা করতে হবে। যাতে তারা দ্রুত সংস্কার করে একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে পারে। সেই বিষয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সহায়তা করার আহ্বান জানান তিনি। এ দেশে জনগণের সরকার ক্ষমতায় না এলে সাধারণ মানুষের আকাঙ্ক্ষা পূরণ হবে না। তারা বর্তমানে বিএনপির দিকে তাকিয়ে আছে। একমাত্র বিএনপিই সাধারণ মানুষের আশা-ভরসার স্থল। শেখ হাসিনা সরকার শুধু নিজেদের জন্য বিদেশে শত শত বাড়ি করেছেন। নিজেরা অর্থবিত্তের মালিক হয়েছেন।
বিএনপি ক্ষমতায় এলে দেশের সব মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাজ করবে।
তারেক রহমান বলেন, এ দেশে জনগণের সরকার ছাড়া কোনো উন্নয়ন সম্ভব নয়। সাধারণ জনগণের সমর্থন নিয়ে বিএনপি আবারও ক্ষমতায় আসবে। সেই লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। জনগণের সরকার ক্ষমতায় থাকলে জবাবদিহি থাকবে। যারা শহীদ হয়েছেন, পঙ্গু হয়েছেন তারা জনগণের অধিকার আদায়ের জন্য অভ্যুত্থানে যোগ দিয়েছিলেন। তাদের অধিকার আদায়ে কাজ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের ধান উৎপাদনের ১৬ শতাংশ হয় কিশোরগঞ্জের হাওরে। সরকার যদি সঠিক ব্যবস্থাপনায় কৃষকদের সহযোগিতা করে তাহলে ২৫ শতাংশ উৎপাদন সম্ভব। বিএনপি ক্ষমতায় এলে আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার করে ধান উৎপাদন আরও বাড়ানোর চেষ্টা করা হবে। হাওরে উৎপাদিত মাছ ও কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামের পনির বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা দেশে আনা সম্ভব।
জনসভায় ময়মনসিংহ বিভাগীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সভাপতি মো. শরীফুল আলমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, ময়মনসিংহ বিভাগীয় বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক ও জামালপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ওয়ারেস আলী মামুন।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম ও সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল সঞ্চালনা করেন।
জুলাই বিপ্লবে কিশোরগঞ্জের শহীদ ১৭ জনের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে আহত ১৬ জনকে সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
Leave a Reply