সরেজমিন প্রতিবেদন :
সারাদেশের ন্যায় ফেনীতে ও সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দুর্গোৎসব সম্পন্ন হয়েছে। এবছর ফেনী জেলার মোট ১৪৭ টি পূজা মন্ডপে পূজার আয়োজন করা হয়। গত পাঁচ দিন ধরে বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দুর্গোৎসব সম্পূর্ণ করা হয়। আজ বিকেল তিনটা থেকে দেবী দুর্গাকে উৎসর্গ করা হয়। ফেনী জেলার সকল পূজা মণ্ডপ থেকে দশমী ঘাটে এনে বিসর্জন দেয়া হয়। গত বেশ কয়েক বছর যাবত ফেনী জেলার সদর উপজেলার তুলাতলি সংলগ্ন দশমী ঘাটে ফেনী জেলার সকল মন্ডপের দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন দেয়া হয়। দুপুর একটা থেকে জেলার দূর-দূরান্তের পূজা মন্ডপ থেকে দেবী দুর্গাকে এনে দশমী ঘাটে সারিবদ্ধভাবে রাখা হয়। এখানে সংক্ষিপ্ত একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফেনী জেলার মাননীয় জেলা প্রশাসক মোছাম্মৎ সাহেনা আক্তার। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ফেনী জেলার পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান। উপস্থিত ছিলেন সেনাবাহিনীর কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল কামরুল হাসান। আরো উপস্থিত ছিলেন ফেনী জেলার সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার জনাব নাজমুল হাসান। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ফেনী জেলার পুলিশ সুপার জনাব হাবিবুর রহমান বলেন, আমরা ফেনী জেলার দুর্গাপূজাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করেছিলাম। এত বড় একটা অনুষ্ঠান পরিচালনা করা দেশের এ ক্রান্তি লগ্নে খুবই কঠিন ছিল। আমরা ভেবেছিলাম এই অনুষ্ঠানটি প্রতিপালন করা সম্ভব হবে কিনা। পরবর্তীতে জেলা প্রশাসক মহোদয়সহ আমরা বারবার সমন্বয়ের মাধ্যমে আজ এ অনুষ্ঠানটি অত্যন্ত সুন্দরভাবে সম্পূর্ণ করতে সক্ষম হয়েছি। এ কাজ সম্পাদন করতে যারা আমাদেরকে সহযোগিতা করেছেন আমি সকলকে কৃতজ্ঞতার সহিত ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফেনী জেলার মাননীয় জেলা প্রশাসক মোছাম্মৎ শাহেনা আক্তার বলেন, সারাদেশে গত তিন মাসে অনেক ঘটনা প্রবাহ হয়েছে। আমরা সকলেই জানি একটি সরকার বিদায় হয়েছে অন্য একটি সরকার দায়িত্ব নিয়েছে। ফেনী জেলাতে গত অগাস্টে ভয়াবহ বন্যা সংগঠিত হয়েছে এতকিছুর পরেও ফেনী জেলার মানুষ ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছে। আজকে এ দশমী ঘাটে ফেনী জেলার মোট ১৪৭ টি পূজা মন্ডপের মানুষ এসে উপস্থিত হয়েছে। তারা অত্যন্ত আনন্দ ঘন পরিবেশে তাদের পূজার আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করছে। এ থেকে প্রতিয়মান হয় ফেনী জেলার মানুষ সবকিছু ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়েছে। এই অনুষ্ঠান সুন্দরভাবে সম্পাদন করায় সকল মন্দির কমিটি এবং পূজা উদযাপন কমিটিকে ধন্যবাদ জানাই। পাশাপাশি যারা প্রতিটি স্থানে মন্ডপ এবং পূজার কাজে সহযোগিতা করেছে সকলকে ধন্যবাদ জানাই সর্বোপরি আপনাদের সবাইকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ধন্যবাদ দিয়ে আমি আমার বক্তব্য শেষ করছি।
Leave a Reply