বিশেষ প্রতিবেদন :
পাসপোর্ট জালিয়াতির ঘটনায় পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) দুদকের উপপরিচালক হাফিজুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
অন্য আসামিরা হলেন- পাসপোর্টের সাবেক পরিচালক ফজলুল হক, মুন্সী মুয়ীদ ইকরাম, টেকনিক্যাল ম্যানেজার সাহেনা হক ও বিভাগীয় পরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুন।
জানা গেছে, বেনজীর আহমেদ ও তার স্ত্রী জিশান মির্জা এবং তাদের দুই মেয়ের নামে ৫টি পাসপোর্ট রয়েছে। মিথ্যা তথ্য দিয়ে পাসপোর্ট তৈরি করায় এর আবেদন থেকে শুরু করে বিতরণ পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট পরিচালক, উপপরিচালক, সহকারী পরিচালকসহ আটজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক।
বেনজীরের বিরুদ্ধে অভিযোগ, নজিরবিহীন জালিয়াতির মাধ্যমে বেসরকারি চাকরিজীবী পরিচয়ে সাধারণ পাসপোর্ট তৈরি করেছেন তিনি। এমনকি পাসপোর্টে পুলিশ পরিচয় আড়াল করেন বেনজীর। কিন্তু নবায়নের সময় এই জালিয়াতি ধরা পড়লে আটকে দেয় পাসপোর্ট অধিদপ্তর।
অনুসন্ধানে এখন পর্যন্ত বেনজীর ও তার স্ত্রী-সন্তানদের নামে ঢাকায় মোট ১২টি ফ্ল্যাট, বিভিন্ন জেলায় ৬৯৭ বিঘা জমি, ১৯টি কোম্পানির শেয়ার, ৩০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র, ৩৩টি ব্যাংক হিসাব ও ৩টি বিও হিসাব (শেয়ার ব্যবসার বেনিফিশিয়ারি ওনার্স অ্যাকাউন্ট) পাওয়া গেছে। এসব সম্পদ জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আদালতের ওই আদেশ আসার আগেই গত ৪ মে বেনজীর আহমেদ দেশ ছাড়েন।
উল্লেখ্য, বেনজীর আহমেদ ২০২০ সালের ১৫ এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আইজিপি ছিলেন। এর আগে তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার ও র্যাবের মহাপরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক।
Leave a Reply